আগামী বছর সারা দেশে লোকসভা ভোট। ইতিমধ্যেই সব দল প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আর এর মাঝেই রাজ্য বিজেপির ডাকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ কলকাতায় আসছেন। ধর্মতলার মঞ্চে ভাষণ দেবেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শহরে পা রাখার আগেই কলকাতা জুড়ে তৃণমূলের পোস্টার, ব্যানার। তাতে লেখা, “মোটা ভাই, ভোট নাই।” বোঝাই যাচ্ছে, পোস্টার, ব্যানারে উল্লেখিত ‘মোটা ভাই’য়ের মাধ্যমে অমিত শাহকেই খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল।
রাজ্যের শাসক দলের সোশ্যাল মিডিয়া এবং আইটি সেলের উদ্যোগে এগুলো দেওয়া হয়েছে। সেগুলোতে লেখা রয়েছে ‘#মোটা ভাই, ভোট নাই’। উত্তর ও মধ্য কলকাতার শ্যামবাজার, শোভাবাজার, হাতিবাগান, গিরিশ পার্ক, বিবেকানন্দ রোড, শিয়ালদা, নাগেরবাজার, ফুলবাগান, কাঁকুড়গাছি মোড়, রাজারহাট, বিধাননগর স্টেশন, উল্টোডাঙা উড়ালপুল, সল্টলেক বিকাশ ভবন, সল্টলেক করুণাময়ী, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মুড়ে ফেলা হয়েছে এই পোস্টার, ব্যানারগুলিতে। সোশাল মিডিয়াতেও বুধবার সকাল ১০টা থেকে এই সব পোস্টার এবং ব্যানার শেয়ার করা হচ্ছে তৃণমূলের আইটি সেলের পক্ষ থেকে। এই নিয়েই তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শহর কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে পোস্টার লাগানো হয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই দলের কোন শৃঙ্খলা নেই, কোন সংস্কৃতি নেই , বাংলার মানুষ এটা দেখছে। এঁদের কৃতকর্মের জন্য বাংলার মানুষের বদনাম হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শহরে বিজেপির কর্মসূচির দিন বিধানসভায় কালো পোশাক পরে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে তৃণমূল বিধায়করা। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তাঁদের কালো পোশাক পরে বিধানসভায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত। এই নিয়েও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই চোর। সকলকেই জেলে যেতে হবে। ওদের প্রচুর চুরির টাকা আছে। তাই ব্র্যান্ডেড দামি কালো পাঞ্জাবি পরে তারা আজ বিধানসভা এসেছেন।
এদিকে মঙ্গলবার বিধানসভায় শীতকালিন অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এই নিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন,
অধ্যক্ষ গতকাল যে পদ্ধতিতে সাসপেন্ড করেছেন তা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। শুভেন্দু দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা ব্যক্তিগতভাবে তাকে রাতে ফোন করে জানিয়েছেন, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় এলে বিরোধী দলনেতার কটাক্ষের শিকার হবেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে যাতে বিধানসভায় এই স্লোগান শুনতে না হয় সেই কারণেই পরিকল্পিতভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, যাতে তিনি বিধানসভায় না থাকতে পারেন।