২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের পাশপাশি দক্ষিণবঙ্গেও বিধায়ক পেয়েছে বিজেপি। তবে নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক বিধায়করা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। কারণ, সদ্য গঠিত নতুন রাজ্য কমিটি। তার জেরে রাজ্য এবং জেলা বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে একাধিক রদবদল হয়েছে। প্রথমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপির মতুয়া বিধায়াকদের একাংশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ইতিমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই সমস্যা এখনও বিজেপিতে মেটেনি। সদ্য বাঁকুড়ার দুই বিজেপি বিধায়কের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা জানান, "রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমি নিরাপত্তা চেয়ে কোনও আবেদনই করিনি। আমি প্রাথমিক ভাবে দু মাস কোনও নিরাপত্তা নিইনি। আমার সমস্যা কিছু আছে। আমি আর নিরাপত্তা রাখছি না। এ বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি।"
মুখ খুলছেন একের পর এক বিধায়ক
এক পা এগিয়ে বাঁকুড়ার ইন্দাস এর বিধায়ক নির্মল ধাড়া জানান, "এটা আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না। এই বিষয় নিয়ে আমার এখনও কিছু জানা নেই। দলত্যাগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইন্দাস বিধানসভার প্রতিটি মানুষ আমাকে প্রতিনিধি হিসাবে নিযুক্ত করেছেন। তাঁদের চাওয়া-পাওয়া তো একটা থাকতেই পারে। আমি জনগণের উন্নয়নে সামিল হয়েছি। সেই ব্রত নিয়ে আমাকে যেখানে যেতে হয় সেখানে যাব। তাতে দল পরিবর্তন করতে যদি হয় সেটা বড় কথা নয়। আমি অন্য জায়গায় যেতে পারি। যেখানে যেতে হয় সেখানে যাব। তৃণমূল কেন? দরকার হলে হাইকম্যান্ডের কাছে আমি যাব।"
চাপ বাড়ছে বিজেপিতে
দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে চাপ বাড়লেও, বিজেপি উত্তরবঙ্গ নিয়ে কিন্তু আপাতত সমস্যা বাড়েনি। সদ্য রাজ্য কমিটি ঘিরেও কোনও বিধায়ক বেসুরো হননি সেখানে। বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণবঙ্গের থেকে উত্তরবঙ্গে বেশি সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গে ছিল গেরুয়া শিবিরের দাপট। সেই উত্তরবঙ্গে বিধায়কদের মধ্যে এখনও বেসুরো হওয়ার কোনও প্রবণতা পায়নি বিজেপি। ফলে এদিন থেকে স্বস্তি বাড়ছে পদ্ম শিবিরের। তবে বনগাঁ, বাকুড়ার একাধিক বিধায়কদের কার্যকলাপ ক্রমেই অস্বস্তিতে ফেলছে বঙ্গ বিজেপিকে।