Mamta Banerjee Odisha Train Accident: বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে আবার ওড়িশায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ওড়িশা যাবেন রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কটক এবং ভুবনেশ্বর দু'জায়গাতেই যাবেন তিনি। এই দুই জায়গার হাসপাতালে রাজ্যের যে আহত রোগীরা ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের দেখতে যাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২০৬ জন আহত ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি রয়েছেন। মূলত তাঁদের চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে কি না, সেটা দেখতেই ট্রেন দুর্ঘটনার পর দ্বিতীয় বার ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ শুক্রের গোচরে ভাগ্য ফিরতে পারে ৩ রাশির, সম্পত্তির যোগ
আরও পড়ুনঃ গ্যাংটকে ১৬, দার্জিলিঙে কত চলছে? পাহাড়ের আবহাওয়ার পূর্বাভাস
সোমবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন,"আমি এখানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সমস্ত রোগীকে দেখেছি। একজন রোগীর একটি হাত হারিয়েছে। অন্য একজনের পায়ে সমস্যা রয়েছে। বাকিরা স্থিতিশীল।" এরপর তিনি বলেন "আমি আগামীকাল কটক পরিদর্শন করব। সেখানে ৫৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। ১২০টি মৃতদেহ এখনও অজ্ঞাত। আমাদের রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭৬টি মৃতদেহ আনা হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের ১৬ জন রোগী সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ২০৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র মেদিনীপুরে ৬৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।"
সোমবার নবান্ন টোল প্লাজায় দুর্ঘটনায় মৃতদের শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রেল দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “আমি চাই মানুষ সত্যটা জানুক। এটা সত্য চাপা দেওয়ার সময় নয়।” ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার সময় আমি সিবিআই তদন্ত দিয়েছিলাম। কিন্তু তার কোন ফল এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। ১২ বছর কেটে গিয়েছে। সাঁইথিয়ার রেল দুর্ঘটনাতেও আমরা সিবিআই দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “সিবিআই তো অপরাধমূলক বিষয়ে তদন্ত করে। কিন্তু এটা তো অ্যাক্সিডেন্টের বিষয়। এর জন্য রেলওয়ে সেফটি কমিশন রয়েছে। তারা এই নিয়ে দ্রুত তদন্ত করছে।” কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের কথা চিন্তা করুন। এখন রাজনীতি করার সময় নয়।