শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তার সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে জলোচ্ছ্বাস প্রবল হতে পারে, সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ ফুটেরও বেশি! ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সম্ভব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে আগাম সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপকূলের থানাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ঘন ঘন মাইকিং করা হচ্ছে। ঘর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন এদিন রাতে নবান্নেই থাকবেন তিনি।
বর্তমানে সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। তার আগে পরিস্থিতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দানা’-র স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাতে নবান্নেই থাকবেন তিনি। নবান্নের নিজের দফতর থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৫১টি ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন আছেন সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। সর্বক্ষণের হেল্পলাইন চালু থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানালেন নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬।
সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলকে সতর্ক থাকার জন্যও বলেছেন তিনি। ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও বাংলাতেও যে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়তে চলেছে, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। নিজের নিজের জেলায় কর্মীদের নজর রাখতে বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলি থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে সকলে এখনও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেননি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৭ জন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পরবর্তীতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে আসবেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৫১টি ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।