রবিবার রাতেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্য দিকে সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল বাংলাার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার দিল্লিতে থাকতেন বাংলার দুই হাই প্রোফাইল রাজনীতিক। কিন্তু শেষ মুহুর্তে নিজের দিল্লি সফর বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে বিকেলে সাংবাদিক করে নিজেই সেকথা জানালেন মমতা।
কেন দিল্লি যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী?
সোমবার শেষ মুহূর্তে দিল্লি সফর বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামিকাল দিল্লিতে এক দেশ, এক নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য এদিন বিকেলেই দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর৷ যদিও শেষ মুহূর্তে সেই সফর নিজেই বাতিল করলেন তিনি৷ এ দিন নবান্নয় মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট রয়েছে৷ সেই কারণেই দিল্লির বৈঠকে তিনি যোগ দিতে যেতে পারছেন না৷
মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন
‘এক দেশ এক ভোট’ প্রস্তাব বিবেচনার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। ওই কমিটির ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে একদিনের জন্য দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি অপারগতার কথা রামনাথ কোবিন্দজিকে জানিয়েছি। উনি বলেছেন, ঠিক আছে।” তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি না গেলেও এক দেশ, এক নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেবে তৃণমূল৷ দলের পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে থাকবেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি যে যেতে পারছেন না সেকথা ফোন করে জানিয়ে দিয়েছেন৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অবশ্য বরাবরই এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবের বিপক্ষে৷ এ নিয়ে এক মাস আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের গঠিত হাই পাওয়ার কমিটিকে চিঠিও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এই ব্যবস্থা সাংবিধানিক কাঠামোর বিরোধী বলেও ওই চিঠিতে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এক দেশ, এক নির্বাচন ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রস্তাব এবং পরামর্শ খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বের হাই পাওয়ার কমিটি তৈরি করে দিয়েছে কেন্দ্র৷ এক দেশ, এক নির্বাচন ব্যবস্থার বিরোধী হলেও তিনি দিল্লিতে মঙ্গলবারের বৈঠকে যাবেন বলেই জানিয়েছিলেন মমতা৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে আচমকা দিল্লি যাত্রা বাতিল করার রাজনৈতিক স্তরে এবং প্রশাসনের মধ্যে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছে।