বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর ভাই ও তাঁর স্ত্রী'কে বিজেপি তাদের দলে যোগদান করাতে চেয়েছিল।
নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বালিগঞ্জে টাকা উদ্ধার কাণ্ডে ED-র নজরে থাকা ব্য়বসায়ী মনজিৎ গ্রেওয়ালের সাহায্যে এই কাজ করতে চেয়েছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, 'ওঁরা বিজেপিতে না যাওয়ায় এত রাগ।'
এদিন বিধানসভায় জবাবি ভাষণ রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। নানা ইস্যুতে আক্রমণ করেন। কথা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার ভাই এবং ভাইয়ের বৌকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে বিজেপিতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু, ওরা যায়নি।'
আরও পড়ুন : একা ঘুমোতে যান বা সঙ্গীকে নিয়ে, বিছানায় এই ৫ কাজ করতে ভুলবেন না
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় আরও বলেন, একজন কি বলতে পারে যে, CBI ওর বাড়িতে যাবে বা পরশু ED অমুকের বাড়িতে যাবে ? বিজেপির তো হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা। সেখানে একটাও ED-CBI হবে না ?
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'ED-CBI যারা করছে , তাদের বিরুদ্ধে একটা তদন্ত করুন না। বিজেপি করলে সাদা। কাল যদি নিরপেক্ষ ভাবে ED-CBI ওদের বাড়িতে চলে যায়, তাহলে দেখবেন ওদের আর খুঁজে পাবেন না।'
প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে গরু আলিঙ্গন দিবস নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কটাক্ষ করেন। গরু আলিঙ্গন করতে গেলে গরু যদি গুঁতিয়ে দেয়, সেই ক্ষতিপূরণও কেন্দ্রের দেওয়া উচিত বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন : আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৭ দিন বন্ধ সব ব্যাঙ্ক, কোন কোন তারিখ ?
এবারের ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিনে 'গোমাতা'কে শ্রদ্ধা জানাতে অভূতপূর্ব পরিকল্পনা নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রীতিমতো কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল, ‘পশ্চিমী সংস্কৃতির আগ্ৰাসনে আমাদের বৈদিক সভ্যতা দিন দিন বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে। গরুকে জড়িয়ে ধরলে শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা সমাজই সুখী হবে। সমৃদ্ধ হবে আবেগ। তাই, গোমাতার উপকারের কথা মাথায় রেখে সমস্ত গরুপ্রেমীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর পাশাপাশি কাউ হাগ ডে হিসেবে পালন করা হোক।’
ওই বিজ্ঞপ্তির পরই তীব্র সমালোচনা ও বিদ্রুপের মুখে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নেয় পর্ষদ। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সোমবার তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।