মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় কঠোর আইন চাইলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সেই চিঠি পড়ে শোনান। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “গোটা দেশ জুড়ে যেভাবে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটছে তা নিয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন দেশে গড়ে ৯০ জন মহিলার ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এতে দেশ ও সমাজের আত্মবিশ্বাস টলে যাচ্ছে। তাই এর অবসান ঘটানো জরুরি”।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এজন্য একটি কেন্দ্রীয় আইন প্রনয়ন করা উচিত। যাতে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়। এই সব ঘটনার শুনানির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গড়ে তোলা দরকার। যাতে ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি শেষ করা যায়।
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে কড়া আইন চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । যেভাবে সারা দেশে প্রতিদিন ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বাড়ছে, তাতে উদ্বিগ্ন তিনি । ১৫ দিনে দোষীদের সাজা দেওয়া যায়, এমন কেন্দ্রীয় আইন চাইছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টও প্রশ্ন তুলেছে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মমতা। সেই চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, দেশে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোজ গড়ে ৯০টি ধর্ষণের ঘটনা হচ্ছে। এই ধরনের ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল’ ঘটনায় বন্ধে অবিলম্বে কড়া আইন আনা প্রয়োজন। চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ফাস্ট স্ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে এই ধরনের ঘটনা ঘটার ১৫ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। বৃহস্পতিবারই অভিষেক সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘‘এমন কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন আনতে হবে, যা ঘটনার ৫০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা নিশ্চিত করবে এবং তাতে দোষীকে কঠোরতম সাজা দেওয়ার নিদান থাকবে।’’