সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ললিত ঝা-র সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ নেই, আজ একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার দুপুরে দিল্লি রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি একথা বলেন। সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ললিত ঝায়ের সঙ্গে বাংলার যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। তিনি সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে একটি এনজিও-র হয়ে কাজ করতেন। এছাড়াও ঘটনার দিন নীলাক্ষ আইচ নামে এক যুবকের মোবাইলে ভিডিও পাঠান। নীলাক্ষ এই এনজিও-র কর্ণধার বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও নাম উঠে এসেছে সায়ন পাল নামে আর এক যুবকের।
সংসদে হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই মূলচক্রী ললিত ঝায়ের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের ছবি প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও ললিতের সঙ্গে যোগাযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক। শনিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, তৃণমূল ও সিপিএম দেশবিরোধী শক্তিকে মদত দেয়। ললিত ঝা ভাইপোর তৃণমূল যুবার নেতা। ললিতের সঙ্গে তৃণমূলের বহু নেতার ছবিও রয়েছে।
আজ সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, 'নিরাপত্তার সঙ্গে আপস নয়। তদন্ত করা দরকার। নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তার গলদ ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। তাদের বিষয়টি তদন্ত করতে দিন। বিরোধীরা বিষয়টি উত্থাপন করেছে এবং সেই কারণেই টিএমসি নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্যান্য কংগ্রেস এবং ডিএমকে এমপিদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে বাংলার যোগ নেই। ঝাড়খণ্ড না কোথায় আছে জানি না। আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। তাই আমরা তদন্তের আগেই বলে দিই না। আবোল তাবোল বকিনা। বাংলা কোনও অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। সবসময় বাংলার অপ্রচার করা বিজেপির কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলার বদনাম করা বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য।'
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় বকেয়া টাকার দাবি জানাবেন। এনিয়ে আজ তিনি বলেন, 'বাংলাকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাস্তার টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্রের একার টাকা নয়। রাজ্যেরও শেয়ার আছে। এখন একটাই জিএসটি ট্যাক্স, আমাদের শেয়ার আমরা দিই, ওদেরটা ওরা দেয়।' এরপরই তাঁর আক্রমণ, 'সব জায়গায় বিজেপির লোগে লাগাতে হবে। স্বাস্থ্য কেন্দের রং গেরুয়া করে দিতে বলেছে। রং করতে হবে বিজেপির কালারের। কে কী খাবে, কী পরবে সেটাও ঠিক করে দেবে, সিলেবাসে যা ইচ্ছা তাই ঢোকাবে। পুরো মাথা ডিস্টার্ব করে দেওয়ার পরিকল্পনা। এগুলি আমার কথার মধ্যে থাকবে, এই জন্য যাচ্ছি। সবাইকে আগাম বড়দিন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।'