Advertisement

Naushad Siddiqui : 'একটি কর্মসূচিতে ৮৮ জন গ্রেফতার?' নওশাদ-মামলায় বিকাশের সওয়ালে অবাক হাইকোর্ট

বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। সেই সময় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মহিলা-সহ ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩২ দিনের বেশি সময় তাঁরা জেলে রয়েছেন"। আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতির প্রশ্ন, "একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে"? যদিও পাশাপাশি নওশাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।

নওশাদ সিদ্দিকী
  • নওশাদ সিদ্দিকী ইস্যুতে হাইকোর্টে শুনানি
  • সওয়াল বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের
  • যা বলল আদালত...

ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (ISF MLA Nausad Siddiki)। গ্রেফতার করা হয়েছে আরও বেশ কয়েকজনকে। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকী। এই ঘটনায় এবার প্রশ্ন উঠল হাইকোর্টে (High Court)। 

বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। সেই সময় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মহিলা-সহ ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩২ দিনের বেশি সময় তাঁরা জেলে রয়েছেন"। আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতির প্রশ্ন, "একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে"? যদিও পাশাপাশি নওশাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। নওশাদ সিদ্দিকীর প্রসঙ্গে বিচারপতি বাগচী বলেন, "নেতার সংযত থাকা উচিত। তাঁর নেতৃত্বে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সে দিকেও তাঁর নজর দেওয়া উচিত ছিল"। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে আবার বলতে শোনা যায়, "সেদিন আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। সেই উপলক্ষে কর্মসূচি নেওয়া হয়। তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেয়, প্ররোচনা দেয়। সেই কারণে ওই ঘটনাগুলি ঘটে"। 

প্রসঙ্গত, দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল (TMC) ও আইএসএফ কর্মীরা। সেই গন্ডগোলের আঁচ এসে পড়ে পড়ে শহর কলকাতাতেও (Kolkata)। ওই দিন বিকালে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশকর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পালটা ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ। সেই গন্ডগোলেই গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী-সহ বেশ কয়েকজনকে। 

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবি জানাতে থাকেন আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়নি। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকীর দাবি, "যা চলছে, তা হেনস্থা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এই হেনস্থা করে নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফকে বা বাংলার বঞ্চিত মানুষকে আটকাতে পারবে না"। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement