হরিণঘাটার বিধায়ক তথা বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের ভিডিও ভাইরাল। সেই ভিডিও-তে অসীম সরকারকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'সব জায়গায় জয় শ্রীরাম বলা উচিত না।' যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। এদিকে এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি ভিডিওটি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন, 'এই পচা আহ্লাদীপনা করতে করতে বাঙালি হিন্দু ডোডো পাখি হয়ে যাবে।'
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে, 'তাহলে আমি জয় শ্রীরাম রাম বলতে গেলে আমাকে তো আল্লা হু আকবরও বলতে হবে। খালি জয় শ্রীরাম বললে হবে না। যে আল্লা, সে রাম, সেই রহিম। এই জন্যই আমি অনের জায়গাতেই বলি, সব জায়গায় গিয়ে জয় শ্রীরাম বলা উচিত না। সেজন্য আমি যখন নবদ্বীপে যাব তখন আমাকে বলতে হবে, নিতাই গ্রুপে হরিবোল। যখন বৃন্দাবনে যাব তখন রাধে রাধে জয় শ্রী রাধে বলতে হবে। যখন কোনও মসজিদে যাব লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বলতে হবে। এসব একই জিনিস। আলাদা কিছু না।' এই ভিডিও ভাইরাল হলেও এর সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। এই বক্তব্য কবে রেখেছিলেন তাও পরিষ্কার নয়। এই বিষয়ে অসীম সরকারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে এই ভিডিও পোস্ট করে তার তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। তিনি bangla.aajtak.in-কে বলেন, 'একজন বিজেপি প্রার্থীর কাছে এই বক্তব্য কোনওভাবেই প্রত্যাশিত নয়। আমি সম্পূর্ণভাবে এই বক্তব্যের বিরোধিতা করছি। আমার মনে হয়, বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর যে শিক্ষাদীক্ষার প্রয়োজন, তা হয়নি। বিজেপির দরকার, তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া। যাতে এই মন্তব্য না করেন। সব মানুষ তো পারফেক্ট হয় না। তাই তাঁকে এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।' তথাগতর আরও দাবি, এই ধরনের বক্তব্য কোনও বিজেপি প্রার্থী রাখলে ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়তে পারে। তাই অবশ্যই সাবধানী হওয়া দরকার।
প্রসঙ্গত, হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারকে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে বিজেপি। রবিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই সোমবার থেকে ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। শুরু করেছেন জোর কদমে প্রচার। গতবার তৃণমূল কংগ্রেস এই আসন জিতলেও এবার এই আসন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি।
অসীম সরকার নিজে একটা সভা থেকে সোমবার বলেন, 'জেতা সিট হলেই জেতে এমন কোনও কথা নেই। বামফ্রন্টের তো জেতা সিট বহু ছিল। আছে আর? বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাকে সামনে রেখেই ভোট হবে। মানুষ যদি নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তৃণমূল আরব সাগরে গিয়ে পড়বে।'