আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে এ রাজ্যের মানুষ রীতিমতো ফুঁসছে। রাজ্য-রাজনীতির পাশাপাশি এই ঘটনার আঁচ পড়েছে সংস্কৃতির ওপরও। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার দায় খানিকটা বর্তেছে রাজ্য সরকারের ওপর। সাধারণ মানুষ সকলেই চাইছেন যাতে এই ঘটনার বিচার দ্রুত হোক। তবে এইসব ঘটনাকে ঘিরে বারে বারেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়া পেজের পোস্ট দেখে নেটিজেনরা হেসে কুটোপাটি হচ্ছেন।
রুদ্রনীল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এক মহিলার হাতে আঁকা ছবি পোস্ট করেছেন। যার আদল কিছুটা মেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই ছবির নীচে লেখা সন্ধান চাই। বিজেপি নেতা এর সঙ্গে ক্যাপশন দিয়েছেন, সন্ধান চাই-উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট, সব ভাষা জানেন, বিষ্ণুকে মাতা বলেন। শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী কেনায় পারদর্শী। প্রায়শই পুলিশ, স্বাস্থ্য দপ্তর ও নবান্নের আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখা যায়। রুদ্রনীলের এই পোস্ট যে কাকে কটাক্ষ করে করা হয়েছে তা স্পষ্ট। অভিনেতা তথা বিজেপি নেতার এই পোস্টে সকলেই হাসির ইমোজি দিয়েছেন।
এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সেখানে তিনি ভিডিও বার্তা করে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, জাস্টিস চাই-জাস্টিস চাই, কে দেবে জাস্টিস, প্রমাণ ছাড়া বিচার কঠিন, প্রমাণ তো প্রায় হাপিস। কারণ প্রথম থেকেই প্রমাণ মোছার কাজ সেরেছে পুলিশ। একটা সিভিক জেলে পুড়ে বানাতে চান ফুলিশ। ইচ্ছে থাকে তড়িঘড়ি, ঝুলিয়ে দাও ফাঁসি। ধনঞ্জয়ের স্টাইলে লোকাও, আসল যারা দোষী। একেবারে ছন্দ মিলিয়ে অভিনেতা মুখ্যমন্ত্রীকে একের পর এক রাজ্যের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিতে থাকেন। রুদ্রনীলের এই কবিতা ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় নেয়নি।
কিছুদিন আগেও আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন রুদ্রনীল। তবে অভিনেতাকে টলি পাড়ার তারকাদের সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায়নি। বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে কলকাতা ও গোটা রাজ্য জুড়ে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। এরপর থেকেই দিকে দিকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে।