সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন জানিয়েছেন যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এই নিয়ে রবিবার সকালে নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ নিজের ক্ষোভ উগরালেন।
দিদির পাশে এখন কেউ নেই
এদিন দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে নিজের নিজের রাস্তা সাফ করছেন সবাই। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে সিট লাগে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে টাকার থলি নিয়ে ঘুরেও একজনকে জেতাতে পারেনি তৃণমূল, এমনকী পঞ্চায়েত ভোটেও খারাপ ফল দেখা গিয়েছে। বিজেপি সাংসদ এরপর অর্মত্য সেনকে কটাক্ষ করে বলেন, “অর্মত্য সেনকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, যারা দিদির পাশে ছিলেন তাঁরা এখন কেউই নেই কেন। এটা অর্মত্য সেনেদের পুরনো অভ্যাস মোদীকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানো। দিদিকে নিয়ে সেই স্বপ্নটাই দেখছেন উনি।“
অর্মত্য সেনকে কটাক্ষ
সাক্ষাৎকারে অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন এও জানিয়েছেন যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে গেলে দেশের আঞ্চলিক দলগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তাঁর মতে, তৃণমূলের মতো আঞ্চলিক দলগুলিকে এই সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অর্থনীতিবিদের এই মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ তাঁকে একহাত নিয়ে বলেন, “থাকেন তো অনেক দূরে তাই ভারতবর্ষের কোথায় কি হচ্ছে তার বোধ হয় খোঁজ রাখেন না তিনি। দেশে কোন কোন আঞ্চলিক দল রয়েছে এবং তাদের অবস্থা কী একটু খোঁজ নিয়ে দেখতে বলুন অর্মত্য সেনকে।“
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : 'মিঠুন একমাত্র সুপারস্টার, বাংলা সিনেমার ত্রাতা দেব', মন্তব্য দিলীপের
কেন্দ্রের টাকা লুট করছে তৃণমূল
রবিবার প্রাতঃভ্রমণে এসে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের বিধায়ক-সাংসদদের দূত হিসাবে একাধিক জায়গায় বকাঝকা নিয়েও কথা বলেন। তাঁর মতে, তাঁরা অনেক আগেই বলে দিয়েছিল যে মানুষ কি চায়। একবার সাধারণ মানুষের চোখের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে যে তাঁদের মনের মধ্যে কি চলছে। দিলীপ ঘোষ এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “কেন্দ্রের হাজার হাজার কোটি পাঠানো টাকা লুট করেছেন ওনারা। নিজেদের বাড়ি গাড়ি করেছেন। ছেলেমেয়েদের বাইরে পড়াচ্ছেন।বউয়ের গয়না গড়ে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের আবাস যোজনার টাকা, সড়ক যোজনার টাকা, একশো দিনের কাজের টাকা সব লুট করেছে তৃণমূলের নেতারা।”
গুণ্ডা-সমাজকর্মীরাই দল চালাচ্ছে
শনিবার দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউবনা এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই অভিযোগকারীকে সপাটে চড় কষান এক তৃণমূল কর্মী। খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এলে মন্ত্রীর সামনেই অভিযোগকারীকে চড় মারেন ওই তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী দলগুলি সরব হয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান যে মন্ত্রীর সামনে কেউ যদি অভিযোগ করতে আসেন এবং সেই ব্যক্তিকে গুণ্ডা দিয়ে পেটানো হচ্ছে। এই য়দি দিদির দূত হয়, তবে দূত বলে আসলে কিছুই নেই। সবটাই গুণ্ডা, সমাজ বিরোধী।দিলীপ ঘোষ এও জানিয়েছেন যে এইসব গুণ্ডা-সমাজ বিরোধীরাই এখন দিদির পাশে আছে এবং দলটিকে চালনা করছে। এর আগেও তিনি এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, বিজেপির ওপর ভরসা করে সাধারণ মানুষের ভয় কেটে যাচ্ছে বলেই তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।
ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী নিয়ে মন্তব্য
এপিসি ভবনে ভুয়ো চাকরি প্রার্থী ধরা পড়া নিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, “সরকারি অফিস গুলোতে ওই চলছে টাকা লেনদেন। নবান্ন থেকে অন্যান্য অফিসে চিঠি নিয়ে যান, কিন্তু নেওয়ার লোক নেই।টাকা প্রকাশ্যে লেনদেন হচ্ছে। লোকও জেনে গেছে টাকা ছাড়া কিছুই হবে না।”