আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবি করেছেন মৃত অশোক জয়সওয়ালের ছেলে শরৎ জয়সওয়াল।
গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি নেতা তথা কলকাতা পুরসভার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি দাবি করেছেন, অবিলম্বে থানার সিসিটিভি ফুটে প্রকাশ্যে আনা হোক। হাইকোর্টে নিজের আবেদনেও একই কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করাতে হবে। সেই সঙ্গে করাতে হবে ভিডিওগ্রাফিও। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হোক।
বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার বিরুদ্ধে অশোক জয়সওয়ালকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। বুধবার সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিট অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। পরিবারের দাবি, চুরির মোবাইল কেনার অভিযোগে অশোককে ডেকে পাঠায় থানায়। পুলিশ মারধর করে খুন করেছে তাঁকে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন সজল ঘোষ। সেই সঙ্গে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি করেন।
চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন কেনার অভিযোগ উঠেছিল পানের দোকানের মালিক অশোকের বিরুদ্ধে। তাঁকে ফোনটি নিয়ে থানায় ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অশোক জয়সওয়ালকে। সেখানেই মারধর করে তাঁকে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। পুলিশর সূত্রের খবর, অশোকের গায়ে হাত তোলা হয়নি। তিনি নিজেই থানায় অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন মাথা ফেটে যায়, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসে। মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। একটি ফেসবুক লাইভে দেখা গিয়েছে, থানায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। চেঁচামেচি করছেন পরিজনরা। তার পরই আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যান বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সিবিআই তদন্তের দাবি করেন।