আজই তৃণমূলে ফিরছেন মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়। রাজ্য রাজ্যনীতিতে কার্যত আলোড়ন শুরু হয়ে গিয়েছে তারপরেই। বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ লেখেন, বাংলার মীরজাফরের জন্য আজকে বিজেপির এই অবস্থা। ওঁরা যত তাড়াতাড়ি চলে যায়, তত ভালো। আমরা বিজেপির সৈনিক হয়ে ছিলাম, আছি আর থাকব। কোনও বেইমান-গদ্দার আমাদের লড়াই করার মানসিকতা ভেঙে দিতে পারবে না। বিজেপি নেত্রী বৈশালী ডালমিয়া লেখেন, যে সব আবর্জনা বিজেপিতে রয়েছে, তাদের দল থেকে দূর করুন শুভেন্দু অধিকারী।
ফেসবুক পোস্টে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা লেখেন, নির্বাচন চলাকালীন ২/১ জন নেতাকে নিয়ে অতি মাতামাতি এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও লবিবাজি করে বাকিদের বসিয়ে রেখে অপমান করার করুণ পরিণতি। চাটার্ড ফ্লাইটের ব়য়্যাল যাত্রীরাও মিসিং। এখনও সময় আছে, বঙ্গ বিজেপির উচিত লবি বাজি বন্ধ রেখে যোগ্যতা অনুসারে নেতাদের কাজে লাগানো। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আশা করি বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী বৈঠকগুলিতে আমি নিয়ম মেনে আমন্ত্রণ পাব। সেই সঙ্গে অনুপমের দাবি, দয়া করে আমার নামে বেসুরো তকমা লাগাবেন না। বিজেপিতেই রয়েছি, আর এই দলে থাকব। গোটা নির্বাচন পর্বে অনুপম হাজরাকে সেভাবে দেখা যায়নি। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিধানসভায় তাকে প্রার্থী করেনি দল। সেভাবে প্রচারের আলোতেও দেখা যায়নি বিজেপির এই যুব নেতাকে।
জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজই সম্ভবত পুরনো দল তৃণমূলে ফিরছেন মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। বিগত কয়েকমাস গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাদের। তবে জানা যাচ্ছে আজ তৃণমূল ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন তারা। তৃণমূল ভবনে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিধানসভা ভোটের সময় থেকে মুকুল রায়কে কোণঠাসা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ মুকুল শিবিরের। সাধারণত সংগঠনের কাজ দেখতে পছন্দ করেন। কিন্তু চলতি বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তরের প্রার্থী করে পাঠানো হয়েছিল মুকুলকে। ফলে গোটা বিধানসভা পর্বেই দেখা যায়নি মুকুলকে।