যাদবপুরকাণ্ডে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। অনেকের অভিযোগ, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিপাকে যাদবপুর, এই সুযোগে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন অনেক রাজনীতিকই। আবার অনেকে বেফাঁস মন্তব্যও করছেন। সম্প্রতি যাদবপুর ইস্যুতে এরকমই বেফাঁস মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদেরও আক্রমণ করেছেন। রবিবার ভাটপাড়ায় একটি দলীয় সমাবেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেন দিলীপ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
'কাশ্মীর ঠান্ডা করে দিয়েছি, আর কোথায় যাদবপুর। আজ হোক বা কাল ঠান্ডা হয়ে যাবে। যেখানে যেখানে সন্ত্রাসবাদী, সমাজবিরোধী শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, বুট দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দিয়েছি। জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে দেখে আসুন। ওখানে প্রকাশ্যে আজাদি বলে স্লোগান দেওয়া হতো সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে। আজ ওখানে লেলিন নেই, স্ট্যালিন নেই। ওখানে বিবেকানন্দের মূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর এখানে যাদবপুর। যেদিন নপুংসক সরকার বিদায় নেবে, সেদিন যাদবপুরে বিবেকানন্দের মূর্তি বসাবো এবং ভারত মাতা কি জয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান দেব।'
পরে এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দিলীপ বলেন 'জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিলাম, কারণ ওখানে ওটাই একমাত্র রাস্তা ছিল। কিন্তু এখানে (পশ্চিমবঙ্গ) কোন আইন নেই। এখানে এরকমই হবে। যাদবপুরেও কি এরকম সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে? সেই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ জানান 'দেখা যাবে, ভবিষ্যতে কি হবে।'
রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাকিনাড়ায় একটি জনসভা থেকে যাদবপুরে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন 'তৃণমূলের সাংসদরা ঝুড়ি, কলসি নিয়ে নাচানাচি করে কিন্তু যাদবপুরে ঢুকছেন না কেন? ওটা কি পাকিস্তান হয়ে গেছে, নাকি আফগানিস্তান হয়ে গেছে যে ঢোকা যাবে না। পুলিশ কি জন্য আছে খালি ঘুষ তোলার জন্য? পুলিশ লেজ গুটিয়ে বসে আছে।" তার প্রশ্ন "এই বিশ্ববিদ্যালয় কি চলা উচিত?'