বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রবিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন নাড্ডা। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'গতকালও বলেছি আজও আবার বলতে চাই। আজকে কয়েকটি সংবাদ পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। মমতাজি বললেন দুর্নীতি কোথায়? আমি জানতে চাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ কোথায়? কোথায় আজ অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে। তৃণমূলের নেতারা বহু কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। তবুও প্রমাণ চাই মমতাদি।'
পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে তিনি বলেন, '২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার ১২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া। এমনকি সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটেও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। আর আপনি দেশের গণতন্ত্রের কথা বলছেন। মমতাজি আগে বাংলার দিকে তাকান।'
বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালুতে সরকার বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, 'আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২১ লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্যবিমার কভারেজ দিতে চেয়েছিল। তবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছতে দেয়নি।' তিনি বলেন, 'বিগত ৪০-৫০ বছরে বাংলায় কংগ্রেস শাসন হোক, কমিউনিস্ট শাসন হোক বা তৃণমূলের শাসন হোক। কেউই বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে কোনও কিছু বাকি রাখেনি। যে বাংলা দেশ ও বিশ্বকে পথ দেখিয়েছিল, সেই বাংলা আজ মমতা সরকারের অধীনে এসেছে। দুর্ভাগ্যবশত, গত চার-পাঁচ দশকে পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি হয়নি। মমতা দিদির অধীনে পশ্চিমবঙ্গকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।'
লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বাংলায় বিজেপির সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথাও কর্মীদের বলেছেন নাড্ডা। তিনি বলেন, 'আমাদের সংগঠনের সম্প্রসারণে আপনার মনোনিবেশ করা উচিত। আসুন আমাদের সংগঠনে সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করি। সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আপনি একটি প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেন। আমি এখানে যে উপস্থিতি এবং উদ্দীপনা দেখছি তা আমাকে নিশ্চিত করছে যে আপনারা বাংলায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করতালির বজ্রধ্বনি বলছে, আপনারা অঙ্গীকার নিয়েছেন যে আপনারা দলকে সফল করবেন এবং বাংলায় পদ্ম ফোটাবেন।'