মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার (Manas Saha) মৃতদেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ বিজেপির। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। যদিও তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের।
বুধবারই মৃত্যু হয় মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার। নির্বাচনের গণনার দিনই আক্রান্ত হন মানসবাবু। গণনাকেন্দ্র থেকে বেরতেই তাঁর ওপর আক্রমণ চালান হয় বলে অভিযোগ। মারধরে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। তারপর থেকেই অসুস্থ ছিলেন ওই বিজেপি নেতা। এরপর বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রয়াত মানস সাহাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাজ্য বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপরেই দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। রাস্তায় দেহ রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় বিজেপি কর্মীদের।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সবাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৃশংসতার কারণেই ঘটেছে এই মৃত্যু।" অন্যদিকে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল প্রশ্ন তোলেন, "যদি এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে ভোটের পর হিংসা হয়নি, তাহলে মানস সাহা কী ভাবে মারা গেলেন?" অন্যদিকে তৃণমূলের (TMC) দাবি, প্রচার পাওয়ার জন্যই ভবানীপুরে এই ধরনের কাজ করছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি।