ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে বউবাজারের কয়েকটি বাড়িতে আবার ফাটল দেখা দিতে একরাশ অনিশ্চয়তায় এলাকার মানুষ। তারইমধ্যে চলছে কাজ। এবার আবার নতুন বিপদ। কিছু বাসিন্দার ঘুম উড়েছে বিকট আওয়াজে। একদিকে যন্ত্রপাতির কম্পন, অন্যদিকে একটানা ঘড়ঘড়ে আওয়াজে ঘুম উড়েছে তাঁদের। বাসিন্দারা মেট্রোকে রাতে কাঁপুনি বন্ধ করার অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে।
পর পর তিনবার বিপর্যয় নেমে এসেছে বউবাজারে। জীবনের ঝুঁকি এড়াতে দুর্গা পিতুরি লেনের অনেকেই বাড়িঘর ছেড়েছেন। তাঁদের কলকাতা মেট্রোর আবাসনে রাখা হয়েছে। কিছু নিরাপদ বাড়িতে বাসিন্দারা বসবাস করছেন। তাঁদেরই রাতের ঘুম উড়েছে। বউবাজার মাটি-ও-মানব কল্যাণ সোসাইটির ব্যানারে ওই বাসিন্দারাই চিঠি লিখেছেন। ৪০ জনেরও বেশি বাসিন্দা ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আপনাদের জানানো যাচ্ছে যে, দুর্গা পিতুরি লেনে ভূগর্ভস্থ ইভাক্যুয়েশন শ্যাফ্ট নির্মাণের জন্য যে বোরিং মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আমাদের এলাকায় গত কয়েকদিন থেকে প্রচণ্ড শব্দ এবং মর্মান্তিক কম্পন সৃষ্টি করছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা, বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণ নাগরিকরা... নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। রাতে শব্দ এবং কম্পন বন্ধ নিশ্চিত করার জন্য আপনার কাছে আমাদের আন্তরিক অনুরোধ।” ৬ জুলাই চিঠিটি কেএমআরসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভি.কে. শ্রীবাস্তবকে দেওয়া হয়েছে।
বাসিন্দাদের একটি অংশ বুধবার রাতে তাদের বাড়ি ছেড়ে মেট্রো শ্যাফটে উঠেছিলেন। কিন্তু মেট্রোর কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমোনো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে।
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, বাসিন্দাদের অসুবিধার জন্য বৈঠক করা হবে। সেইসঙ্গে এমনিতেই দেরি হওয়া প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করারও চেষ্টা চলছে। এখন ওই সাইটে ৩০টি ভূগর্ভস্থ পিলার তৈরির কাজ চলছে। সেটির পাইলিংয়ের সময়েই ওই আওয়াজ ও ভাইব্রেশন তৈরি হচ্ছে বলে মেট্রো সূত্রে খবর।