'রাজ্য সরকারই হাইকোর্টে আবেদন করেছিল, অযোগ্যদের বের করে নতুন নিয়োগ দিতে চাই'। ২৫,৭৫৩ চাকরি বাতিলের রায়ে এমন মন্তব্যই করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়,'যোগ্য লোকের চাকরি কি চলে যাবে? আমাদের সরকার বলছে, এটা হতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে এসএসসি। আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি'।
এ দিন হাইকোর্টের নির্দেশে প্রেক্ষিতে মমতা বলেন,' এই রায়টা বেআইনি। সেই জন্যই চ্যালেঞ্জ করে বলছি। অর্ডারটাকে, আমি বিচারপতিকে বলছি না। রায়টাকে বলছি বেআইনি। আমরা এটা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি'। নেত্রী যখন বলছেন বেআইনি রায়, তখন ব্রাত্য দাবি করছেন, অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের কথা বলেছিল এসএসসি-ই। সেই আবেদনকেই মান্যতা দিল আদালত।
এ দিন ব্রাত্য বলেন,'ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। অযোগ্যদের বের করে দিয়ে নতুন নিয়োগ দিতে চাই আমরা। সেই আবেদন হাইকোর্টে করেছিল এসএসসি-ই। আমরা যেটা বলেছিলাম সেটাই মান্যতা দিল কোর্ট। সেই সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এই মর্মে আবেদন করা হয়েছিল যে আমরা অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে পারি। সেই কথা বুঝতে না পেরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। সিবিআই তদন্তের নির্দেশে এখনও স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য লোকের চাকরি কি চলে যাবে? আমাদের সরকার বলছে, এটা হতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি'।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বার রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৬ সালে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, সকলের নিয়োগই বাতিল করা হয়েছে এই রায়ে। প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন,তাঁদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সুদ-সমেত বেতন ফেরত দিতে হবে। বছরে সুদের হার ১২ শতাংশ।
এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার কথা কথা জানিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাঁর মন্তব্য,'রায়ে আমরা খুশি নন'। তাঁর প্রশ্ন, ৫ হাজার জনকে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সে জন্য ২৬ হাজার জনের কেন চাকরি বাতিল হবে?