এখন অনেকটাই সুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিছুটা সুস্থ হতেই বাড়ি ফিরতে চাইছেন তিনি ৷ চিকিৎসকদের একথা জানিয়েওছেন তিনি ৷ সোমবারই ইনভেনসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয় তাঁকে। সেই থেকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে ৷ কিন্তু, বুদ্ধদেব বাইপ্যাপ চাইছেন না। বারবার চিকিৎসকদের অনুরোধ করছেন, তাঁর বাইপ্যাপ সাপোর্ যেন খুলে দেওয়া হয়। সাধারণ ভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে চাইছেন তিনি ৷
যদিও হাসপাতালের তরফে এখনই বুদ্ধবাবুর 'বায়না' শোনা হচ্ছে না। তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় চেক আপ করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডাক্তারবাবুদের সঙ্গে কথা বলেছেন বুদ্ধদেব। তাঁর কী কী অসুবিধে হচ্ছে, সেই সব জানিয়েছেন। জানা গেছে, এখন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০-এর উপরে। ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে চেস্ট ফিজিওথেরাপি দেওয়া হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ তবে সংক্রমণ আগের থেকে কমছে। সময় যত যাবে ততই সংক্রমণ কমতে শুরু করবে।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তো বাড়ি যেতে চাইছেন। এখনই কি তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে? এই বিষয়ে ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালে থাকতে চাইছেনা না। বাড়ি যেতে চাইছেন এটা সত্যি। কিন্তু এখনই তাঁকে ছাড়া হবে না। আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করা হবে। তাঁর শরীরের সব প্যারামিটার এখন ঠিক নেই। সেই কারণে অনবরত তাঁকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও কয়েকটা টেস্ট বাকি আছে। সেগুলোও হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এখন যা পরিস্থিতি সেই রকম থাকলে আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। তবে সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে সংকটজনক অবস্থায় আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে গিয়েছিল। তারপর তাঁর একাধিক পরীক্ষা হয়। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেই মতো চিকিৎসাও শুরু হয়।