শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থার এখন উন্নতি হয়েছে খানিকটা। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়েছে। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন তিনি।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। কাল ওঁর রিপোর্ট ইতিবাচক হলে ভেন্টিলেটর থেকে বের করার সুযোগ হতে পারে। সবার মত নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানালেন চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখনও সঙ্কটজনক। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। জানানো হল হাসপাতালের তরফে প্রকাশিত সান্ধ্য বুলেটিনে।
হার্ট ভালো কাজ করলেও এখনও সংকটমুক্ত নন বুদ্ধদেব। চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে তিনি সাড়া দিচ্ছেন। গতকালের তুলনায় আজ রবিবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
বুদ্ধদেববাবু সৎ রাজনীতিবিদ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখোে এসে বললেন রাজ্যের বিরোধী দবনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
হাইডোজের অ্যান্টিবায়োটিক। প্রভাব পড়েছে কিডনিতেও, স্বাভাবিকের থেকে বেশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা। গতকালের তুলনায় পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি, দাবি সূর্যকান্ত মিশ্রর।
ব্লাড প্রেসার ১৪০/৮০, অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৮% মতো রয়েছে। শনিবার থেকে যে তন্দ্রাভাব ছিল সেটাও অনেকটা কমেছে।
ফুসফুসে সংক্রমণ থাকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেওয়া হচ্ছে হাইডোজের অ্যান্টিবায়োটিক।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, 'কাল রাতে যখন আমি এখান থেকে গিয়েছি, তার থেকে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সেন্স এসেছে, ডাকলে সাড়া দিচ্ছেন। বাকি মেডিকেল প্যারামিটারে আমার এক্তিয়ার নেই।'
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে হাসপাতালে সিপিএম নেতা রবীন দেব। এলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এসেছেন বিমান বসুও।
রবিবার সকালে বুদ্ধদেবের মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে হাসপাতাল জানাল, এখনও তিনি রয়েছেন ভেন্টিলেশনেই। বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার সংক্রমণের অবস্থা জানতে দুপুরে তাঁর বুকের সিটি স্ক্যান করানো হবে বলেও প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালটি।
রবিবার রাইলস টিউব দিয়ে একটু খাবার খাওয়ানো হবে তাঁকে এমনটাই জানা গিয়েছে।
উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি এখন চিকিৎসায় অল্প সাড়া দিচ্ছেন। খবর হাসপাতাল সূত্রে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রা বেশি। যে মাপকাঠি থেকে সংক্রমণের মাত্রা বোঝা যায়, তার থেকে প্রায় ৬০ গুণ বেশি ক্রিয়েটিন তাঁর শরীরে আছে। এই আবহে তাঁর শরীরে সংক্রমণ বাসা বেঁধেছে। রক্তচাপও কমছিল তাঁর। তাই তাঁকে পুরোপুরি ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাম দিকের ফুসফুসের সংক্রমণ বেশি। ডানদিকের ফুসফুসও সংক্রমিত। তাঁকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।
বুদ্ধদেবের ফুসফুসের অবস্থা বুঝতে হবে সিটি স্ক্যান। হাসপাতাল পৌঁছলেন সুচেতনা। এখনও সঙ্কট কাটেনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
রবিবার সকালেও ভেন্টিলেশনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রেখেই রাইলস টিউব দিয়ে তাঁকে একটু খাবার খাওয়ানো হবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের তরফে নতুন বুলেটিন প্রকাশ করা হলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাইল্য়াটারেল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর মিক্সড রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়েছে। চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।
শ্বাসকষ্ট কমাতে দেওয়া হচ্ছে সিপ্যাপ, ৮ চিকিৎসকের মেডিক্যাল টিম গঠন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিউমোনিয়ার কারণে বুদ্ধবাবুর ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ হয়েছে। যে সি রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ৫ বা তার নীচে থাকা উচিত, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০, যার অর্থ, সংক্রমণ গভীর
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯১-৯৩। একদিকে অক্সিজেনের ঘাটতি, অন্যদিকে দেহে অতি মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইড। চিকিৎসকদের পরিভাষায় ‘মিক্সড রেসপিরেটরি ফেলিওরে’র শিকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফুসফুসের দু’দিকেই রয়েছে সংক্রমণ। অক্সিজেনের মাত্রা স্থিতিশীল করে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমানো এখন লক্ষ্য। ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা কমাতে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ করা হচ্ছে।