Advertisement

Primary Teacher Recruitment Scam: ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদ

সম্প্রতি ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানা মহলে। যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, তাঁর রায় বিস্তারিত পড়লে আর কোনও প্রশ্নের অবকাশ নেই। তবে এরইমধ্যে ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিল নিয়ে নয়া মোড়। প্রাথমিকের ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে পর্ষদকে মামলা করার অনুমতিও দিল ডিভিশন বেঞ্চ।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 May 2023,
  • अपडेटेड 1:47 PM IST

সম্প্রতি ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নানা মহলে। যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন, তাঁর রায় বিস্তারিত পড়লে আর কোনও প্রশ্নের অবকাশ নেই। তবে এরইমধ্যে ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিল নিয়ে নয়া মোড়। প্রাথমিকের ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে  পর্ষদকে মামলা করার অনুমতিও দিল ডিভিশন বেঞ্চ। 

 ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা এই নির্দেশকে আইনি ভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখছেন। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। সোমবার মামলা করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই এই চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হতে পারে।

ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরাও। তাদের বক্তব্য না শুনে কী ভাবে সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করছেন এই চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। প্রসঙ্গত কর্মচ্যুত চাকরিহারাদের পাশে আগেই দাঁড়িয়েছিলেন  পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, "হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় প্রসঙ্গে আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছি আমরা। আইন মেনে পদক্ষেপ নেব।" অর্থাৎ প্রয়োজনে ডিভিশন বেঞ্চেও যেতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিলেন পর্ষদ সভাপতি।

প্রসঙ্গত শুক্রবার নজিরবিহীন রায় দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে জানান, একাধিক বেনিয়ম লুকিয়ে। ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট সঠিক ভাবে নেওয়া হয়নি। সংরক্ষণ নীতিও মানা হয়নি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ২০১৬ সালে। তারপরেই ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, এই শিক্ষকরা আগামী চার মাস স্কুলে পড়াবেন, কিন্তু প্যারা টিচার হিসেবে। সেই মোতাবেক পার্শ্ব শিক্ষকদের স্কেলে বেতনও পাবেন তাঁরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। বিক্ষোভে নামেন এই ৩৬ হাজার ‘কর্মচ্যুত’ শিক্ষক। তাঁদের পাশে দাঁড়ায় পর্ষদও। সেইমতো এদিন ডিভিশন বেঞ্চে গেল পর্ষদ। 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement