প্রাথমিকের একটি মামলা নিজের এজলাস থেকে ছেড়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাটিকে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। মামলাটির সঙ্গে বৃহত্তর স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসাবে শুনানি করা উচিত। সেই কারণে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠাচ্ছেন।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বিচারাধীন। সেই রকমই বিদেশ গাজি নামে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলা ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাকারী পঞ্চম শ্রেণিকে যাতে পুরোপুরিভাবে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা হয় তার দাবি জানিয়েছেন। আবেদন মামলাকারী জানান যে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু রাজ্যের অনেক হাইস্কুলেও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হয়। তাই পঞ্চম শ্রেণিকে পুরোপুরিভাবে প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। মামলকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক গাজী শুনানিতে বলেন, ২০০৯ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন নির্দেশিকা দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটিই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবং পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবে ধরা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিরর জন্য হবে অন্য পরীক্ষা। যদিও পশ্চিমবঙ্গে বেশির ভাগ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি উচ্চ প্রাথমিকের মধ্যেই পড়ে। এদিকে, সরকার প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটিই টেট নেয়। তা পঞ্চম শ্রেণিকে কেন প্রাথমিকের মধ্যে ঢোকানো হচ্ছে না।
মামলাকারীর আবেদন শোনার পর বিচারপচি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মামলাটির সঙ্গে রাজ্য সরকারের নীতি জড়িয়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে এই মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচনা হওয়া উচিত। এই মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য উপযুক্ত।