অনলাইন (Online)-এ ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University)। স্নাতক স্তর (Graduate Level)-এর প্রথম বর্ষ (First Year)-র পড়ুয়াদের ওই পদ্ধতিতে ক্লাস চালু হবে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। এবং সেইসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলির কাছে ই-মেলে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর (Sixteen December) থেকে অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রথম সেমস্টারের ক্লাস শুরু করে দেওয়া হবে।
তবে অনলাইনে থিওরির ক্লাস নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্র্য়াক্টিক্যাল ক্লাস কীভাবে নেওয়া হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। সে বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিষয়ে প্র্য়াক্টিক্যাল ক্লাস হয়। ঠিক তেমনই চারুকলা, দৃশ্যকলার মো বেশ কিছু বিষয়েও প্রাক্টিক্যাল ক্লাস হয়। এবার সেগুলোর কী হবে?পরবর্তী সময়ে সে জন্য কি আলাদা ব্যবস্থা করা হবে? এ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, তা এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি।
শিক্ষাবিদদের একাংশের মতে, থিওরি ক্লাসের সঙ্গে এর অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রাক্টিক্যাল ক্লাসের ধারণাই তো আলাদা। এর মানে তো হাতে-কলমে শেখা। তা অনলাইনে কী করে সম্ভব, বলা মুশকিল। অনলাইনে থিওরি ক্লাস নেওয়া যেতেই পারে। তবে সরাসরি প্রাক্টিক্যাল ক্লাস না হলে হাতে-কলমে কিছু শিখতে পারবেন কি না, সন্দেহ রয়েছে। ধরা যাক, কোনও পড়ুয়া মূর্তি বানানো শিখছেন, ছবি আঁকা শিখছেন। তাঁরা যদি নিজের হাতে না করেন, কেউ ঠিকঠাক ভাবে দেখে না দেন, তাহলে তো খুবই সমস্যার।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কবে খোলা হবে, তা নিয়ে রবিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এখনই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে না। ডিসেম্বরে আর সেগুলি খোলা হবে না। তবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা যাতে লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন, তাই অনলাইনে ক্লাসের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ স্কুল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।