আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Medical College তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ-খুন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফি টেস্ট করার অনুমতি পেল সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা আদালতে আবেদন করেছিল। এর আগে সিবিআই অভিযুক্তের সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষা করেছিল। এখন পলিগ্রাফি টেস্টের মাধ্যমে জানা যাবে, অভিযুক্ত কতটা মিথ্যা, কতটা সত্যি বলছেন। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফি পরীক্ষাও করতে চায় সিবিআই।
ইতিমধ্যেই সাইকোলজিক্যাল টেস্ট হয়েছে
এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়, যাকে ঘটনার পরপরই পুলিশ গ্রেফতার করে। এই মামলার তদন্ত পরে সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, যা এই মামলার বিভিন্ন স্তরের তদন্তে নিযুক্ত রয়েছে। এর আগে, অভিযুক্তের একটি সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছিল, যেখানে অভিযুক্ত মানসিকভাবে ভাল আছে কি না তা জানার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন পলিগ্রাফি টেস্ট করলেও জানা যাবে অভিযুক্ত একাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, নাকি অভিযুক্তও দায় স্বীকার করছে, তাতে কতটা সত্যতা রয়েছে।
সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফি পরীক্ষাও হতে পারে
সিবিআই সূত্র বলছে, সন্দীপ ঘোষের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের দেওয়া বক্তব্য এবং আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বক্তব্য আলাদা। সন্দীপ ঘোষকে আবার জেরা করার পর সিবিআই তার বেশ কিছু বয়ান রেকর্ড করেছে। সিবিআই টিম সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বয়ান রেকর্ড করেছে। পুরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। পরবর্তী মামলায় সন্দীপ ঘোষের বয়ান রেকর্ড করা হবে এবং নির্যাতিতার পরিবারের বয়ানের ভিত্তিতে জেরা করা হবে। এছাড়াও, যা কিছু তথ্য এখনও সংগ্রহ করা হয়নি বা এতে কিছু অসঙ্গতির সম্ভাবনা রয়েছে, তা পুনরায় পরীক্ষা করা হবে।
পলিগ্রাফি পরীক্ষা কী?
পলিগ্রাফ পরীক্ষাকে সাধারণত মিথ্যা আবিষ্কারক পরীক্ষাও বলা হয়। এই তদন্তে আসামির হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করা হয় এবং আসামি কোনও বিষয়ে কতটা সত্য ও কতটা মিথ্যা বলছেন তা জানা যায়।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে ৯ আগস্ট, যখন কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে একজন স্নাতক শিক্ষানবিশ ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং তারপর হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে হাসপাতালের সেমিনার হলে নিহতের দেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় নিহতের শরীরে ১৪টি গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের মৃত্যুর রিপোর্টে জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। দেহ পাওয়া মাত্রই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় রায় সিভিক ভলান্টিয়ার।