বকেয়া বিল (Bill) কিস্তিতে মেটাতে হবে গ্রাহকদের। ১০টি কিস্তিতে সেই টাকা দিতে হবে। অনাদায়ী বিল মেটানোর জন্য এই ব্যবস্থা করেছে সিইএসসি (CESC)।
তারা ঠিক করেছে, ধাপে ধাপে বকেয়া অর্থ মেটানো সুযোগ করে দেওয়া হবে। সিইএসসি গ্রাহকদের এ ব্যাপারে জানিয়ে দেবে। বিলে বিস্তারিত তথ্য থাকবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং লকডাউন (Lockdown)-এর সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং বন্ধ রাখা ছিল।
সে সময়কার বিল নেওয়ার জন্য তখন তারা ঠিক করেছিল, আগের ছমাসের গড় ধরে অঙ্ক করে বিলা পাঠানো হবে। অভিযোগ ওঠে, হিসেবের পদ্ধতিতে গোলমাল রয়েছে। জুন মাসের সঙ্গে অনাদায়ী ইউনিটজুড়ে পাঠানো হয়েছিল আর এখানেই গোলমাল এর সূচনা।
এর জেরে তুমুল গোলমাল শুরু হয়। অভিযোগ, বড়সড় অঙ্কের বিল পাঠানো হয়েছিল। গ্রাহকরা অত বড় অঙ্কের বিল দেখে প্রতিবাদ জানান। কলকাতা এবং তার আশপাশের এলাকায় তুমুল বিক্ষোভ হয়। বেশ কয়েকদিন এই বিক্ষোভ চলেছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়।
অন্যদিকে, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সিইএসসি (CESC)-এর অনেক খুঁটি উপড়ে যায়। বেশ কয়েকদিন পরও পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় মানুষের মনে ক্ষোভ ছিল। তখনও তাঁরা বিক্ষোখ দেখিয়েছিলেন। কলকাতার আশপাশে এলাকায় মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করেছিল।
এরপর চড়া বিল যেন আগুনে ঘি দেওয়ার মতো কাজ করে। একেই তো টানা কয়েকদিন বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হয়েছিল। তার জন্য চূড়ান্ত সমস্যা হয়েছিল মানুষের। আর তার ওপর বিলের ধাক্কা।
পিসি তরফ থেকে জানানো হয়েছে নভেম্বর মাসের বিল থেকে ওই বকে অংক দশটি কিস্তিতে নিয়ে নেওয়া হবে আর কতটুক কত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে তার বিস্তারিত হিসেবে দেওয়া থাকবে।
সিইএসসি (CESC) দাবি করেছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন মাসে বেশ কিছু বিল বাকি পড়ে রয়েছে। এখন সেগুলি নেওয়া হবে। কিস্তিতে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকা হচ্ছে। রাজ্যে তাদের প্রায় ১৮ লক্ষ গ্রাহক রয়েছে।