Advertisement

এবার উপনির্বাচনের 'ভ্রুকুটি'! ভোট মিটেও মিটছে না যেন

এবারের ভোটে সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে। কারণ সেখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

জগন্নাথ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মানস ভুঁইয়া
অভিজিৎ বসাক
  • কলকাতা,
  • 06 May 2021,
  • अपडेटेड 7:57 PM IST
  • উপনির্বাচনের ভ্রুকুটি
  • ভোট শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ
  • রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা এবং লোকসভা এবং রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচন হতে পারে

উপনির্বাচনের ভ্রুকুটি! ভোট শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ। রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা এবং লোকসভা এবং রাজ্যসভা আসনে উপনির্বাচন হতে পারে।

একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর এমনই সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেক জায়গায় সাংসদরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন।

কিন্তু নিয়ম অনুসারে তিনি ৬ মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন। তবে ওই সময় কালে তাঁকে ভোটে জিতে আসতে হবে। ইতিমধ্যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়ে নিয়েছেন। নিজের কাজও শুরু করে দিয়েছেন।

এবারের ভোটে সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে। কারণ সেখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী।

যিনি এক সময়ে তৃণমূলে ছিলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম 'কাছের মানুষ' বলে পরিচিত ছিলেন। শুভেন্দু মমতাকে হারিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে উপনির্বাচনের জিতে আসতে হবে।

তিনি কোন কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান, তা নিয়ে এবার নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন তিনি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা থেকে ভোটে দাঁড়াতে পারেন। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী ভোট জিতেছেন। সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন কাজল সিনহা। তবে তিনি প্রয়াত। ভোটে তাঁর জয়ের দেখা হয়নি। সেখানে লড়ে পারেন মমতা।

লোকসভা বা রাজ্যসভার সদস্য, এমন বেশ কয়েকজন এবারের ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের অনেকে জিতেছেন। ফলে সেখানে উপনির্বাচন হবে, এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দেখে নেওয়া যাক, কোথায় কোথায় এমন হতে পারে।

মানস ভুঁইয়া রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন এবং জিতেছেন। সবং কেন্দ্র থেকে তিনি জিতেছেন। দীর্ঘদিন সেখানকার বিধায়ক ছিলেন। এবারের ভোটে তাঁর ভাল ফল হয়েছে। অর্থাৎ তিনি ভোটে জিতেছেন। ফলে তাঁকে কোনও একটা পদ ছাড়তে হবে। হয় রাজ্যসভা, নয় বিধানসভা। 

Advertisement

বিজেপি তাদের ৪ জন সাংসদকে ভোটের ময়দানে নামিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দু'জন হেরেছেন এবং দু'জন জিতে গিয়েছেন। জয়ী প্রার্থীরা হলেন কোচবিহারের সংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। 

নিশীথ বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন কোচবিহারের দিনহাটা থেকে। তিনি হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের উদয়ন গুহকে। উদয়ন দিনহাটার বিদায়ী বিধায়ক ছিলেন। তবে তিনি হার মেনেছেন নিশীথ প্রামাণিকের কাছে। যিনি আগে ছিলেন তৃণমূলেই। 

নদীয়ার রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ভোট দাঁড়িয়েছিলেন। শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে তিনি ভোটে লড়েছেন। এবং জিতেও গেছেন। তিনি হারিয়েছেন সেখানকার বিদায়ী বিধায়ক অজয় দে-কে। তার তাই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উপনির্বাচনের।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement