Advertisement

Charak Oath Debate : চরক-শপথে তুমুল বিতর্ক, ভুল স্বীকার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের

Charak Oath Debate: চরক শপথ (Charak Shapath) নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta Medical College and Hospital)। অভিযোগ উঠেছে, সোমবার সেখানে এমবিবিএস পাঠক্রমের ক্লাস শুরুর প্রথম দিন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হিপোক্রেটিক ওথ (Hippocratic Oath)-এর পরিবর্তে চরক শপথ (Charak Shapath) পাঠ করানো হয়। তীব্র প্রতিবাদ জানায় ডিএসও (DSO)।

চরক শপথ নিয়ে বিতর্ক (প্রতীকী ছবি)চরক শপথ নিয়ে বিতর্ক (প্রতীকী ছবি)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 Feb 2022,
  • अपडेटेड 4:10 PM IST
  • চরক-শপথ নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ
  • এমবিবিএস পাঠক্রমের ক্লাস শুরুর প্রথম দিন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হিপোক্রেটিক ওথ-এর পরিবর্তে চরক শপথ পাঠ করানো হয় বলে অভিযোগ
  • এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়

Charak Oath Debate: চরক শপথ (Charak Shapath) নিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta Medical College and Hospital)। অভিযোগ উঠেছে, সোমবার সেখানে এমবিবিএস পাঠক্রমের ক্লাস শুরুর প্রথম দিন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হিপোক্রেটিক ওথ (Hippocratic Oath)-এর পরিবর্তে চরক শপথ (Charak Shapath) পাঠ করানো হয়। এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। তীব্র প্রতিবাদ জানায় ডিএসও (DSO)।

ডিএসও-র দাবি
মেডিকেল কলেজ কলকাতা প্রথম বর্ষের ক্লাসে চরক শপথ পাঠ করার প্রতিবাদে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের সম্পাদক ডাঃ অংশুমান মিত্র, ডিএসও (DSO)-র মেডিকেল ইউনিটের আহ্বায়ক ডা: শামস মুশাফির যৌথভাবে দাবি করেন, ২১ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস পাঠক্রমের ক্লাস শুরুর প্রথম দিন কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ক্লাসরুমে বর্তমান সময়ের এক বিতর্কিত বিষয় চরক শপথ দিয়ে ক্লাস শুরু করা হয়েছে। এর তীব্র বিরোধিতা করছি।

তাঁদের (DSO) অভিযোগ, বেশ কিছুদিন আগেই ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (NMC)-এর  আন্ডার গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডে চরক শপথ (Charak Shapath)-এর বিষয়টি প্রস্তাব আকারে নিয়ে এসেছিল। এবং যা গোটা দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মেডিকেল শিক্ষার সঙ্গে পরিপূরক শপথ (Hippocratic Oath)-কে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিয়ে ভারতীয় ঐতিহ্যবাদের নামে চরক শপথ (Charak Shapath)-এর নামে যে শপথ আনতে চলেছে।

আরও পড়ুন

তাঁরা (DSO) আরও দাবি করেন, এটা আসলে মেডিকেল শিক্ষায় গৈরিকীকরণের নামান্তর। সংগঠন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার সারা দেশ জুড়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে এই চরক শপথ (Charak Shapath)-এর নামে অবৈজ্ঞানিক বিষয় এবং হিন্দুত্ববাদকে সামনে নিয়ে আসার চক্রান্তকে প্রতিবাদ করেছে ও অবিলম্বে তা বাতিল করার দাবি জানিয়েছি। বিজেপি শাসিত কিছু রাজ্যে যেমন গুজরাট কর্নাটক,  এই চরক শপথ (Charak Shapath) শুরু করেছে। তারই পথ ধরে বাংলার মেডিকেল কলেজ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। 

হিপোক্রেটিক ওথ নেওয়া হবে
কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে ইডিএসও (DSO) মেডিকেল ইউনিট প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের হিপোক্রেটিস ওথ-এর বদলে চরক শপথ পাঠ করানোর প্রতিবাদে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। তাঁদের দাবি, স্যার বলেন যে এটা ভুল হয়ে গিয়েছে এবং ক্ষমা স্বীকার করে নেন।

Advertisement

ডিএসও-র বলে, আমরা দাবি জানাই যে, ছাত্রদের কাছ থেকে এই চরক শপথ ফিরিয়ে নেওয়া হোক এবং তার পরিবর্তে হিপোক্রেটিক ওথ পাঠ করানো হোক। তিনি আমাদের এই দাবি মেনে নেন। এবং বলেন যে ফাউন্ডেশন কোর্স যেদিন শেষ হবে সেদিন সব ছাত্রদেরকে হিপোক্রেটিক ওথ পাঠ করানো হবে।

ভুল স্বীকার হাসপাতালের 
হাসপাতালের অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র বলেন, "ভুল করেই হয়েছে। কারণ এটা এনএমসি-র গাইডলাইন ভেবেছিলাম। কিন্তু সেটা তা নয়। এটা ভুল করেই হয়েছে ফাউন্ডেশন কমিটির তরফ থেকে। আগে কোনও দিন হত না, এই চরম শপথ। কোভিডের পরবর্তীকালে ফিজিক্যাল মোডে ক্লাস করার জন্য, একটা ভিডিও কনফারেন্স হয়েছিল। সেখানকার মিনিটসে হয়েছিল। তবে অর্ডার, ডিরেকশন বা স্টেট ডায়রেক্টিভ- কোনওটাই ছিল না। এটা ভুল হয়েছে।"

এদিন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, "না জেনে মন্তব্য করব না। স্পষ্ট নয় নির্দেশ কার। হঠাৎ পরিবর্তন কেন এটা প্রশ্ন হতেই পারে। সারা ভারতে করোনা মোকিবিলায় ব্যর্থ। তা হলে কীসের লাভ এ জিনিস করে।"

শমীকের বক্তব্য
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রাকেশ করের সমর্থনে প্রচারে এক ফাঁকে শমীক ভট্টাচার্য কলকাতা মেডিকেল কলেজে চরক শপথ করানো প্রসঙ্গে বলেন, "সরকারি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান শুরু হয়েছে ভারতে। পৃথিবীর যে কোনও দেশে চিকিৎসা বই শুরু হয় সুশ্রুত দিয়ে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূচনা এই দেশের মাটিতে।"

তিনি আরও বলেন, "সভ্যতা যার উপরে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা শূন্য, সেটা ভারতের। ওপেনহার্ট প্রসেস সারা পৃথিবী জানে। কীভাবে ইস্পাত তৈরি করে আধুনিক সভ্যতার ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেটা মধ্যপ্রদেশের ওয়াজ গ্রামে গেলে দেখা যাবে। হাজার বছর আগে থেকে পদ্ধতি এখানে চলছে। সেই অতীতকে সামনে নিয়ে আসা এই সরকারের লক্ষ্য।"

 

Read more!
Advertisement
Advertisement