লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বিধবা ভাতার পেনশন নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাঁরা এই দুই পেনশন পাবেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের দলীয় সভা থেকে সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বিধবা ভাতা নতুন করে অনেককে দেওয়া হবে। সেই ঘোষণা মতো নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, 'বাংলার বাড়িও হবে। একটু টাকা হলেই সেই প্রকল্পে হাত দেওয়া হবে। সরাসরি যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৯০ লক্ষ জনকে লক্ষ্মীর ভান্ডার ও বিধবা ভাতার পেনশন দেওয়া হবে। সব আমি রেডি করে রেখেছি। উৎসবগুলো মিটে গেলে সব ঠিক সময়মতো দেওয়া হবে। আমি গিয়ে সেগুলো দিয়ে আসব।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নাম লিখিয়েছেন বা আগামী দিনেও পাবেন তাঁদের জন্যও সুখবর আছে। আবেদন করলেই এই প্রকল্পে টাকা পেলে। এবং ৬০ বছরের বেশি কারও বয়স হয়ে গেলে এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের আওতায় যাঁরা থাকেন তাঁরা বার্ধক্য ভাতা হিসেবে টাকা পেতে থাকবেন। এই সরকার কোনওদিন লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া বন্ধ করবে না।
এদিনের বক্তব্য থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও বাংলায় যথেষ্ট কর্মসংস্থান হয়েছে। এখানে ২,৮০০ তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় ২ লক্ষের বেশি কর্মী রয়েছেন। টিসিএস, উইপ্রো, কগনিজ্যান্ট, এরিকসন, ক্যাপসেজিমিনির মতো সংস্থা রয়েছে রাজ্যে। বানতলা লেদাক কমপ্লেক্সে উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ুর একাধিক সংস্থা রয়েছে। সেখানে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে এবং আগামী দিনে আরও ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি করেন মমতা।
এদিন মমতা আরও জানান, আসানসোল-দুর্গাপুরে শেল গ্যাসে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। সেখানেও কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। দেউচা-পাঁচামি হলে বীরভূম, বর্ধমান,পুরুলিয়ার ১ লক্ষ মানুষের চাকরি হবে। এর পাশাপাশি আঘামী ১০০ বছর কয়লার অভাব থাকবে না বলেও দাবি করেন। মমতা জানান, রঘুনাথপুরে শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে।