সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি, শহরের যানজট থেকে মূল্যবৃদ্ধি— বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে সিইএসসির একতরফা বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধিতে উষ্মা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁর কথায়, সরকারকে না জানিয়ে বিদ্য়ুতের দাম বাড়িয়েছে সিইএসসি।
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে উত্তরের দুর্যোগের পাশাপাশি বর্ষায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় রুখতেও দাওয়াই দেন তিনি। সঙ্গে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়েও বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এই সুযোগে শুনলাম সিইএসসি ক’পয়সা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদেরকে কিছুই জানায়নি। বিদ্যুৎ দফতরকেও কিছু জানায়নি।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের কাছে কোনও খবর নেই, আমাদের সংস্থার মাশুল বাড়াইনি। একটু তো কথা বলে নেবে, এটুকু আমরা আশা করি'। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “যাই হোক, আমাদের WBSEDCL এক পয়সাও দাম বাড়ায়নি।”
প্রসঙ্গত, বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে নানা সময়ে নানা অভিযোগ করেন বিরোধীরা। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্য়েও কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিদ্য়ুতের বিল দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ভোট চলাকালীন খুব চুপিসারে কলকাতায় বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার এই অভিযোগেরই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যকে না জানিয়ে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নও তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মাশুল বৃদ্ধির কথা তাঁদের জানা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীকে সিইএসসি-র সঙ্গে কথা বলারও নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, চলতি মাসে সিইএসসি গ্রাহকদের যে বিল পাঠাচ্ছে, তাতে গড় মাশুল ৫.৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ৩০ জুন এ বিষয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল সংস্থাটি।
সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে বর্ষায় বিদ্যুৎ নিয়ে সাবধানতা এবং সতর্কতা বিষয়েও কিছু পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রান্সফর্মার বিকল হলে যাতে শিগগির তা মেরামত করা যায়, সেদিনে নজর দিতে বলেন তিনি।