ধামাখালিতে এক পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন বিজেপিপ নেতা-কর্মীরা। এবার সেই ভিডিও পোস্ট করে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির চোখে কেউ পাগড়ি পরলেই সে খালিস্তানি। তা প্রমাণ হয়ে গেল।
ঘটনার সূত্রপাত ধামাখালিতে। মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে ধামাখালিতে তাঁর পথ আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকেন শুভেন্দু। তার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ আসে, শুভেন্দু সন্দেশখালি যেতে পারবেন। এদিকে শুভেন্দু সন্দেশখালি যেতে চাইলেও তাঁকে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। তাদের তরফে জানানো হয় কোর্টের নির্দেশ এখনও আসেনি তাঁদের কাছে। তখনই এক আইপিএস অফিসারের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। তখনই কেউ খালিস্তানি বলেন অভিযোগ। আর তাতে রেগে যান সেই কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার।
তিনি বলতে থাকেন, 'আমাকে খালিস্তানি বলা হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব। আমি পাগড়ি পরে আছি বলে আমাকে একথা কেন বলা হল। আমি যদি পাগড়ি না পরতাম তাহলে কি আমাকে খালিস্তানি বলা হত?' যদিও সেই সময় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, কেউ খালিস্তানি বলেনি। সেই পুলিশ অফিসার বলতে থাকেন, 'আপনারা পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে পারেন। তবে আপনারা আমার ধর্ম নিয়ে কথা বলতে পারেন না। এটা আপনাদের সংস্কৃতি। এটা কোনওভাবেই প্রত্যাশিত নয়।'
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, 'আজ, বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি নির্লজ্জভাবে সাংবিধানিক সীমানা অতিক্রম করেছে। তাদের কাছে পাগড়ি পরা প্রত্যেক ব্যক্তিই খালিস্তানী। শিখ ভাই ও বোনদের খ্যাতি ক্ষুন্ন করার যে প্রচেষ্টা, তার তীব্র নিন্দা জানাই। দেশের প্রতি তাদের ত্যাগের কথা সবার জানা। আমরা বাংলার সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় দৃঢ়ভাবে রয়েছি। যারা তা ব্যাহত করার প্রচেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।'
অন্যদিকে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে নিয়ে সন্দেশখালিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানকার মহিলারা রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে মালা পরান। হাতে রাখি পরিয়ে দেন। শাহাজাহানের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভপ্রকাশ করেন। শুভেন্দু অধিকারী এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।