গঙ্গার নীচ দিয়ে চলল মেট্রোর। জুড়ল হাওড়া ও কলকাতা। বুধবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে তিনি যাননি। এমনকি রাজ্যের কোনও প্রতিনিধিও ছিলেন না। এ দিন এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কলকাতায় আরও দু'টি মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনও করলেন- নিউ গড়িয়া থেকে রুবি এবং জোকা-তারাতলা মেট্রোপথের মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত অংশ। এছাড়া পুণে, কোচি এবং আগ্রা মেট্রো প্রকল্প ও নমো ভারতে উদ্বোধনও করেন।
গঙ্গার নীচ দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কৃতিত্ব ইউপিএ জমানার। এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন,'প্রধানমন্ত্রী বড় ইভেন্ট ম্যানেজার। যে কোনও অনুষ্ঠানে জৌলুস আনতে পারদর্শী। এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ কবে শুরু হয়েছিল, সেটা প্রধানমন্ত্রী বলবেন না। এই মেট্রোর কাজ শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের আমলে। এটা একবারও বলেছেন কী?'
তিনি যোগ করেন,'আমি রেল প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শেষ রেল বাজেটে ২০১৪ সালে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল এই রেল প্রকল্পে। কারণ তখন কাজটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এই মেট্রোর কাজের জন্য বৌবাজারে অনেকের বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে, তাঁদের জন্য কি একটাও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? স্বাভাবিকভাবে কৃতিত্ব নেওয়ার প্রতিযোগিতায় মোদী সবসময় আগে থাকবেন। মোদী এমন ভাব করছেন, যেন ভারতে মোদীর আগে কেউ কোনও কাজ করেনি। এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ভাবনা বামফ্রন্ট সরকার ও তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের।'
সন্দেশখালিতে বিজেপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেন অধীর। তাঁর কথায়,'বিজেপি পার্টি প্রচার করতে চাইছে. সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে। এটা বাংলার গ্রাহ্য হবে না। অপরাধী ও অত্যাচারিত মানুষের বিষয় এটা। মোদী বা বিজেপি এটাকে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন বাড়াতে চাইছে'।