রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছেন ব্রিগেডে। দূরদুরান্ত থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি খাবারের আয়োজন করে থাকে। ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসে তৃণমূলের তরফে ঢালাও আয়োজন থাকে। তৃণমূলের আয়োজনে নজর কাড়ে ডিমের ঝোল আর ভাত। কোথাও ডিম কষা ও রুটি। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই মেনুতে নজর কাড়ে ডিমভাত।
ডিওয়াইএফআই-এর ব্রিগেড সমাবেশে তৃণমূলের মতো রান্নার আয়োজন হয়নি। তবে কর্মীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে এরিয়া কমিটিগুলি। এক এক জেলার তরফে এক এক মেনু করা হয়েছে। সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির এক একটি এরিয়া কমিটি ব্রিগেডে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের জন্য খাবারের আয়োজন করেছে। প্রতিটি এরিয়া কমিটি খাবারে প্যাকেটে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
৩০ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেটে এরিয়া কমিটিগুলি থেকে পাঠাবে বলে ডিওয়াইএফআই সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কোনও কোনও প্যাকেটে থাকছে মাংস-ভাত। কোনও এরিয়া কমিটি পাঠিয়েছে রুটি-ডিম কষা। রুটি-আলুভাজা বা রুটি-তরকাও পাঠিয়েছে কোনও এরিয়া কমিটি।
এছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন কর্মীরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রান্নার জিনিস এনেছেন। তাঁরাও বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের মতো করে রান্না করছেন। এর আয়োজনে রয়েছে মূলত জেলা কমিটিগুলি। খাবার যাই জুটুক ব্রিগেড ঘিরে বামেদের মধ্যে উচ্ছ্বাস নজর কেড়েছে সকাল থেকেই। ব্রিডেডের সমাবেশ অনেক সমর্থকের কাছেই রাজনৈতিক কর্মসূচীর পাশাপাশি পিকনিক। তাই সকাল থেকেই পিকনিকের মেজাজে রয়েছেন কর্মীরা।