উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনা উদ্বেগজনক ও নিন্দাজনক। ইডির তদন্তকারীদের উপর হামলায় ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথায়,'গণতন্ত্রে হিংসা ও গোলমাল রোখার দায়িত্ব সরকারের। রাজ্য সরকার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া বিধান রয়েছে।' এদিকে ঘটনা নিয়ে জানতে মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।
সিভি আনন্দ বোস মনে করিয়ে দিয়েছেন,'রাজ্যপাল হিসেবে, সংবিধান অনুযায়ী সব বিকল্প খতিয়ে দেখে যথা সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ করব। পেশীশক্তি ও কাগুজে বাঘদের নামিয়ে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো যাবে না। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি চলতে পারে কেবলমাত্র মুর্খের স্বর্গেই। বাংলায় দুর্বল গণতন্ত্র নেই। রাজ্য সরকারের নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত।'
রাজ্যপালের কড়া বার্তা,'এই ধরনের ভোট পূর্ববর্তী হিংসার শুরুতেই অবসান হওয়া দরকার। হিংসা থামানোর দায় শুধুমাত্র সরকারের। সরকারের উচিত বাস্তব বুঝে পদক্ষেপ করা উচিত। নইলে তার ফল ভোগ করতে হবে।'
পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য়পাল। তিনি বলেন,'আইনশৃঙ্খলার অবনতি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে পারে না পুলিশ। হিংসায় দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা বোঝাতে হবে, কিছু লোককে সামান্য সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারেন না। সব সময় সবাইকে বোকা বানাতে পারেন না। বাংলায় অবিলম্বে হিংসা ও দুষ্কৃতীরাজ থামাতে হবে।'
বস্তুত এ দিনই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,'রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে?' তার পরই রাজ্যপালের কড়া বার্তা। যেখানে তিনি সাফ জানালেন,'রাজ্য সরকার নিজেদের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে ফল ভুগতে হবে।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের রোষের মুখে পড়েন ইডির তদন্তকারীরা। মাথা ফাটে এক ইডি আধিকারিকের। রীতিমতো পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। আরও দুজন জখম হয়েছেন।