রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। 'মধ্যরাতে পদক্ষেপে'র হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। তার পাল্টা নাম না করে 'ভ্যাম্পায়ার' কটাক্ষে বিঁধেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কথামতো শনিবার রাতে দুটি গোপন চিঠিতে সই করেন রাজ্যপাল। একটি মোদীকে, আর একটি মমতাকে পাঠানো হয়। ওই গোপন চিঠিতে কী রয়েছে? সোমবার সেই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল বলেন,'মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যাচ্ছেন, তাঁকে আমি নতুন করে টেনশন দিতে চাই না।'
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিন কয়েক আগে মধ্যরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেন। যা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসক দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অর্থনৈতিক অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। শনিবার সিভি আনন্দ বোস হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন,'আজ মধ্যরাতে কী করি দেখুন!''শহরে ভ্যাম্পায়ারের উদয় হয়েছে' পাল্টা দেন ব্রাত্য। সেদিন রাতেই দুটি 'গোপন' চিঠিতে সই করেন রাজ্যপাল বোস। একটি চিঠির প্রাপক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর একটির প্রাপক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখবন্ধ খামে ভরা জোড়া 'গোপন' চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সেই চিঠি প্রসঙ্গেই জবাব দিতে গিয়ে আরও একবার প্রকারন্তরে হুঁশিয়ারিই দিলেন তিনি। বললেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যাচ্ছে, তাঁকে নতুন করে আমি টেনশন দিতে চাই না। রাজ্যকে যা পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে এখন আলোচনার সময় নয়। মুখ্যমন্ত্রী ফিরে এলে এ নিয়ে আলোচনা হবে'
রাজ্যপালের নামোল্লেখ না করে তাঁকে ভ্যাম্পায়ার বলে আক্রমণ করেছিলেন ব্রাত্য বসু। সেদিন ব্রাত্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, 'সাবধান সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা বেরিয়েছে। নাগরিকরা সতর্ক থাকবেন। ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী একে বলে রাক্ষস প্রহর! তার অপেক্ষায় রয়েছি।' তার পাল্টা এ দিন ব্রাত্য বসুকে নাম না করে 'জুনিয়র অ্যাপয়েন্টি' বলেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন,'আমার জুনিয়র অ্যাপয়েন্টির বক্তব্যের কোনও উত্তর দেব না'।