শনিবারই সম্ভবত ল্যান্ডফল করবে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। তার আগেই জারি করা হয়েছে প্রবল সতর্কতা। ওড়িশার পুরীর উপকূলের খুব কাছে ল্যান্ডফল করবে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে এর দিক পরিবর্তন হলেও হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং কলকাতাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলায় জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
প্রথমে নিম্নচাপ হিসাবে থাকলেও, পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় জাওয়াদ। সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এর অভিমুখ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এর অভিমুখ পুরীর খুব কাছে। তার জেরে পুরীতে এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে। এই প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র জানান, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সঙ্গেও সমন্বয়ের জন্য এই কন্ট্রোল রুমটি ২৪x৭ ঘণ্টাই খোলা থাকছে। এর পাশাপাশি উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ। কলকাতা-সহ বাকি জেলাগুলিতে এই বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দীঘা, সুন্দরবনের মতো এলাকাগুলিতে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
তবে এই ঝড়ের জেরে বাংলায় শীত প্রবেশে ব্যাঘাত ঘটছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি মতো বাড়তে পারে। রাতের দিকের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে এখনই কনকনে শীতের দেখা পাওয়া যাবে না। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ দুর্যোগপূর্ণ থাকবে বলে আভাস হাওয়া অফিসের। পরে ডিসেম্বেরর মাঝামাঝি সময় থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হলেও হতে পারে। তবে এখনই শীতল আবহাওয়া অনুভব করা যাবে না। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।