বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শনিবার দুপুরে বিশেষ বুলেটিনে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ৬ ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গেছে। এটি একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিমের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায়। দক্ষিণের বাকি জেলাগুলোতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে ওই জেলাগুলিতে বৃষ্টির ফলে শীত শীত ভাব কিছুটা কমতে পারে। তবে তাপমাত্রায় বিরাট কোনও বদল আসবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
এদিকে কলকাতায় হালকা ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেও এখন আর তা মালুম হচ্ছে না। নভেম্বরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে বেশ খানিকটা ঠান্ডা পড়েছিল। গরম জামা বেরিয়ে আসছিল আলমারি থেকে। কিন্তু তারপরেই ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই আশঙ্কা সত্যি করে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ যা ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর তা ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হতে চলেছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, অত্যন্ত দ্রুত গতি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপটি। এদিন ঘূর্ণিঝড়টি দানা বাঁধতে শুরু করবে। তারপর তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে তাণ্ডব শুরু করবে। ৫ তারিখ, মঙ্গলবার দুপুরে ল্যান্ডফল হবে মিগজাউমের। সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বচ্চ ৯০-১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলবর্তী এলাকায় সোমবার থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। মঙ্গলবার ল্যান্ডফলের সময় ওড়িশাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।