১৫ লক্ষ মানুষকে এখনও পর্যন্ত পেরেছি। ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। বুধবার নবান্নে এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন জেলায় জল জমছে। জল সরবরাহ ঠিক রয়েছে কলকাতায়। সারাক্ষণ মনিটরিং চলছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আরও বলেন, এই তাণ্ডব এখনও চলবে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩.৮ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। ভরা কোটালের জন্য জলে ডুবে যাচ্ছে। প্রতি বছর একই অবস্থা দেখছি দরকার হলে আরও স্কুলে রাখা হবে।
গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বুধবার নবান্নে রাত জেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। আজ, বুধবারও তিনি নবান্নে রাতে থাকবেন। আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সে কথা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত না আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে, সরকার ক্লিয়ারেন্স না দিচ্ছে, কেউ ওই এলাকায় নিজেদের বাড়ি ফিরবেন না। আজ রাতে ভরা কোটাল হবে। সবাইকে আবেদন করব, একটু কষ্ট করুন জীবন বাঁচাতে।
তিনি বলেন, বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। প্রতি বছরই দেখছি। যেখানে যা প্রয়োজন, সেনা সেখানে নামানো হবে। এনডিআরএফ, সিভিক পুলিশ সবাই কাজ করছেন। শঙ্করপুর, দিঘা, মন্দারমণি, গোসাবা প্রভাবিত হয়েছে।
মমতা জানান, ১৫ লক্ষ মানুষকে এখনও পর্যন্ত সরাতে পেরেছি। অনেক জায়গা ভেসে গিয়েছে। অনেক জায়গায় বন্যা হয়েছে। মেদিনীপুরে ৭০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।, দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানা, সাগর, বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, ফ্রেজারগঞ্জে প্রভাব পড়েছ।
তিনি জানান, বিদ্যাধরীর জল ঢুকেছে বাসন্তীতে। দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর স্টেশন ক্ষতিগ্রস্থ। এখনও দিঘা থেকে লোক সরাচ্ছি। সম্পত্তি গেলে তো ফিরে পাবেন। জীবন গেলে তো পাবেন না।
তিনি জানান, আগের বার মানে আমফানের সময় ১০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে এনেছিলাম। তাঁদের শিবিরে রাখা হয়েছে। বাংলায় ৪ হাজার শিবির রয়েছে। আমরা তৈরি করেছি।
তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' (Cyclone Yaas)। তবে এরই মাঝে বাংলা এবং ওডিশায় শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল বৃষ্টিপাত। সঙ্গে প্রবল গতিবেগে হাওয়া। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র।
ওডিশার ধামড়ায় ল্যান্ডফল করেছে ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' (Cyclone Yaas)-এর। তার আগে এর জেরে কলকাতায়ও শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।
প্রবাল আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ। ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' (Cyclone Yaas) ল্যান্ডফল করার কথা ওডিশার ধামড়ায়। আবহাওয়াবিদরা আগে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, সেটি ওডিশার বালেশ্বরে স্থল ভাগ ছুঁতে পারে। তবে সেটি দিক পরিবর্তন করেছে।