৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ব্যবধান আরও বাড়ল। আর সেই বেতনের ফারাক কম নয়। দাবি রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্য সরকারের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মচারীদের মাসিক বেতনের ফারাকই হচ্ছে যথাক্রমে প্রায় ১০ হাজার টাকা ও ৭ হাজার টাকা।
কত টাকা কম বেতন পাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা?
এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সংগঠনের সভাপতি দেবাশিস শীল। তিনি জানান,পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একজন গ্রুপ ডি কর্মচারী যিনি কম করে ৬ থেকে ৭ বছর চাকরি করেছেন, তিনি ১.৭.২০২২ থেকে প্রতি মাসে ৭০০০ টাকার উর্ধ্বে বঞ্চিত হচ্ছেন। বছরের হিসেনে যা দাঁড়ায় ৮৪০০০ টাকার বেশি। আবার গ্রুপ সি'র কোনও কর্মী মাসে ১০০০০ টাকার উর্ধ্বে বঞ্চিত হচ্ছেন। বছরে এক লাখ টাকার বেশি।
আরও পড়ুন : DA West Bengal Update : পুজোর আগেই রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের DA নিয়ে বড় UPDATE
কোন যুক্তিতে এই তথ্য দিলেন দেবাশিসবাবু? তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ৪% ডিএ বাড়িয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরা নয়া বেতনহারে ৩৮% ডিএ পাবেন। আর তা ১.৭.২০২২ থেকে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু AICPI অনুসারে ডিএ বৃদ্ধি হয় এবং যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়েও পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মচার্ম রীদের AICPI অনুসারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের নয়া বেতনহারে ডিএ বঞ্চণার পরিমাণ হল ৩৫%!
আরও পড়ুন : যাওয়া-থাকা-খাওয়া খরচ মাত্র ২ হাজার, সামনেই কাঞ্চনজঙ্ঘা-ঝরনা; ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গের এই ৪ টুরিস্ট স্পট
প্রায় একই যুক্তি শোনা যায় কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি বলেন, 'এই বঞ্চনা আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আজ কেন্দ্রীয় সরকার যে ডিএ ঘোষণা করল তার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা এরিয়ার সহ মহার্ঘ ভাতা পাবেন। অথচ রাজ্য সরকারের কর্মীদেরও তা প্রাপ্য। কিন্তু, সরকার তা দিচ্ছে না।'
আরও পড়ুন : পুজোয় মাত্র ৫০ টাকায় দোতলা বাসে কলকাতা ঘুরুন, দেখুন কেমন সেই বাস
আরও একধাপ এগিয়ে দেবাশিস শীল জানান, দিল্লীর বঙ্গভবনে কর্মরতর্ম পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে কেন্দ্রের ঘোষণার দিন থেকেই ডিএ পেয়ে যাচ্ছেন। কোন বকেয়া থাকছে না। রাজ্য সরকার দ্বিচারিতা করছে।