ডিএ নিয়ে বড় খবর। শহিদ মিনারে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মী ও শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা। কোর্টের কর্মীরাও এই আন্দোলনে সামিল। তার মধ্য়েই বড় আপডেট। ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল রাজ্য সরকার। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়েছে।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, এবার থেকে ৪২ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা মিলবে। এর আগে পাওয়া যেত ৩৮ শতাংশ। তবে এই ডিএ সরকারি কর্মী বা শিক্ষকরা পাবেন না। পাবেন পশ্চিমবঙ্গ জুডিশিয়াল সার্ভিস তথা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিসের সব সদস্যদের। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে বলে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। যদিও রাজ্যের সরকারি কর্মী ও শিক্ষকরা এখন ৬ শতাংশ হারে ডিএ পান।
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ তথা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। পয়লা বৈশাখের দিন তাঁদের তরফে এই খোলাচিঠিকে হালখাতা বলে উল্লেখ করা হয়। সেখানে লেখা, 'শহিদ মিনারে এসে বকেয়া মিটিয়ে যান।' সেই হালখাতায় প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। সেখানে লেখা, 'আজ এই পুণ্যলগ্নে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও সরকার পোষিত কর্মচারীদের বিগত ১২ বছর ধরে যে মহার্ঘ ভাতা বকেয়া আছে এবং শূন্যপদে নিয়োগ বকেয়া আছে, স্বচ্ছ ও স্থায়ী ভাবে নিয়োগের মাধ্যমে তা আমাদের বর্তমান বাসভবন শহিদ মিনারে এসে মিটিয়ে দিতে অনুরোধ করছি।’
বকেয়া ডিএ-পাওয়ার দাবিতে আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনার চত্বরে বকেয়া ডিএ-সহ মেটানো সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। স্কুল শিক্ষকরাও রয়েছেন সেখানে। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তাঁরা অনশন করেছেন। তবে তাঁদের দাবি এখনও মেটায়নি রাজ্য সরকার। নিজেদের দাবি নিয়ে দিল্লিও গিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। কারণ আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবি আদায়ে ধর্নার পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া মেটানোর মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। গত ১১ এপ্রিল মামলার শুনানি থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ এপ্রিল। ২০২২ সালের মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ?যায় রাজ্য। সেই এসএলপি-র শুনানির দিকে তাকিয়ে রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী।