ডিএ পাওয়ার দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল তারা। ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সব সরকারি অফিসগুলিতে পূর্ণদিবস কর্ম বিরতির ডাক দিল তারা। এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের একাংশও। তারাও এই আন্দোলনে সামিল হতে পারে।
আজ শনিবার ডিএ-আন্দোলন ২৩ দিনে পড়েছে। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী অনশন করছেন। অসুস্থও হয়েছেন। তবে আন্দোলন থেকে সরতে নারাজ তাঁরা। আন্দোলনকারীদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, বকেয়া যে ডিএ রয়েছে তা রাজ্য সরকারকে মেটাতে হবে। তারপরই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে।
কর্মবিরতি নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কনভেনর ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'এই আন্দোলন চলবে। সরকারকে ডিএ মেটাতে হবে। এর আগেও কর্মবিরতি করেছি। সরকার তারপরও সদর্থক ভূমিকা নেয়নি। মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছে। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ভিক্ষা চাননি। তাঁরা হকের পাওয়া দাবি করছেন। অথচ এই সরকার তাতে কর্ণপাতই করছে না।'
তবে ডিএ নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাং আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ালেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বকেয়া ডিএ নিয়ে কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন।। বাঁকুড়ার সভা থেকে তিনি বলেন, 'আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই। আমি গুপি গাইন, বাঘা বাইন নই। আমাকেও টাকা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। দিল্লির সরকার খাদ্য এর টাকা দিচ্ছে না। খাদ্য বিদেশে পাঠাতে হবে। গরিব মানুষকে দেবে না। বলছে আবাসের টাকা দেবে না। আমাদের টাকা আমাদের দিচ্ছে না। বলছে ওদের ভাতে মেরে দাও। এত সস্তা নয়, বাংলার মানুষ ভিক্ষা চায় না। মাথা উচু করে বাঁচতে চায়।'
এদিকে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এই প্রথম নয়, এর আগে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১ ফ্রেরুয়ারি রাজ্যজুড়ে সমস্ত সরকারি দফতরে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি আবার কর্মবিরতি চলে দিনভর।