মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। ৪ মে আন্দোলনকারীরা ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলা থেকে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই মিছিলেন অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। সংগ্ৰামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ৬ মে মিছিলের অনুমতি প্রার্থনা করে আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আবদেনও করা হয়েছে। এদিকে, নবান্ন অভিযানে আপত্তি কেন? তাই নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
নবান্ন অভিযানের অনুমতি না দেওয়ায় আদালতের প্রশ্নের মুখে এদিন পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। বিচারপতি মান্থা আজ আদালতে বলেন, '৩০ থেকে ৪০টি মামলা আমার কাছে এসেছে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে।'এই আবহে সরকারকে তাঁর প্রশ্ন, মিছিল করার জন্য কেন আদালতকে বার বার হস্তক্ষেপ করতে হবে? নিজের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বলেন, 'আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবির কথা তুলে ধরতে চাইছেন। এই আবহে যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন হয়, তাহলে তাতে সরকারের সমস্যা কোথায়? সরকার এই ধরনের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে না।'
প্রসঙ্গত, ৪ মে নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কো অর্ডিনেশন কমিটি সহ কয়েকটি সংগঠন। দুপুর ২টোয় ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। এদিকে রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে, ডিএ মামলা যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই এই নিয়ে আন্দোলন বা মিছিলের কোনও যৌক্তিকতা নেই। এর জবাবে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, 'বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেন, কিন্তু শান্তিপূর্ণ মিছিল বন্ধ করতে পারেন না। স্কুল, কলেজ, অফিস আছে বলে মিছিলের অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করা যায় না। আন্দোলনকারীরা তো দেখাতে চান তাঁরা কতটা অসুবিধার মধ্যে আছেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো আন্দোলন করতে বারণ করেনি।'
গতমাসেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সরকারের উচ্চ পদস্থ আমলারা। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, ডিএ-র সমস্যা তাতে মেটেনি। ফলত বৈঠক নিষ্ফল হয়েছে। এরপরই চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। এই আবহেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। তবে ডিএ-র দাবিতে ডাকা এই নবান্ন অভিযানের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। মিছিলের অনুমতি না পেয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।