রাতের কলকাতায় মূক ও বধির তরুণীকে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনায় এক ক্যব চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। আনন্দপুরের পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা কামরে আলম ওরফে রাজা। অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছেন নির্যাতিতা। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে প্রগতি ময়দান থানা। এই ঘটনায় রাতের শহরে নারী নিরাপত্তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে রুবির মোড়ের কাছ থেকে মগরাহাটের বাসিন্দা ওই মূক ও বধির তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তোলে কামরে আলম ওরফে রাজা। আনন্দপুরের একটি ব্যাগের কারখানায় কাজ করেন ওই তরুণী। ঘটনার দিন কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। চলন্ত গাড়িতেই তাঁর উপরে অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত। সায়েন্স সিটির আগে আম্বেদকর সেতুর কাছে মহিলাকে ফেলে চম্পট দেয় সে। সেখান থেকে পার্ক সার্কাস স্টেশন পৌঁছে ট্রেন ধরেন নির্যাতিতা। ঘটনার কথা বাড়ির সদস্যদের তিনি আকার-ইঙ্গিতে জানান। সেই রাতেই প্রগতি ময়দান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার।
আকার-ইঙ্গিত বুঝতে সক্ষম বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। পুলিশ সূত্রের খবর, সিসিটিভি ক্যামেরাতেই অভিযুক্তের গাড়ির সন্ধান মেলে। এরপর শুক্রবার আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত ক্যাব চালককে গ্রেফতার করে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।
এ দিন অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬, ৩৪২, ৩২৩, ৩৭৬ (২)(এল) এবং ৩৮২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।