"শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কলকাতায় নেই, বাইরে আছেন। যাঁরা এখানে আছেন তাঁদের ডাকা হয়েছিল, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু বিধায়ক, সাংসদ ও বরিষ্ঠ নেতাদের ডাকা হয়েছিল।" ভুয়ো ভ্যাকসিনের প্রতিবাদে বিজেপির পুরসভা অভিযানে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতির প্রশ্নে এমনটাই সাফাই দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, কোনওরকম শক্তি প্রদর্শন বা হিংসা-মারামারির উদ্দেশ্যে নয়, শুধুমাত্র সরকার যা করছে তা ঠিক নয়, এবং সেই বিষয়ে তাদের সচেতন করতেই ওই কর্মসূচির আয়জন করা হয়েছিল। যদিও বিজেপির পুরসভা অভিযানকে ফ্লপ শো বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এদিন তার জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, সরকার বা পুলিশের জন্য ওই আন্দোলন করা হয়নি। সাধারণ মানুষকে যেভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, ভ্যাকসিন জন্য যেভাবে হাহাকার চলছে, তার প্রতিবাদ জানাতেই তাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেক্ষেত্রে শাসকদল কী বলল সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপবাবু।
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আরও বলেন, বিরোধী দল হিসেবে তাদের দায়িত্ব মানুষের সমস্যা তুলে ধরা। সেক্ষেত্রে এরপরেও যদি সরকারের আচরণে পরিবর্তন না আসে তবে আরও নিচুস্তর পর্যন্ত আন্দোলনকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে যা বললেন দিলীপ...
এদিকে বিজেপির (BJP) যখন মিছিল চলছিল ঠিক সেই সময় দলেরই বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে বসে তাঁর সঙ্গে গল্প করতে দেখা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "উনি বিজেপির বিধায়ক, বিজেপিতেই আছেন। ওনার পুরনো পরিচিতদের সঙ্গে দেখা করতেই পারেন, কথা বলতেই পারেন। তাতে অসুবিধার কিছু নেই।"
প্রসঙ্গত ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার কলকাতা পুরসভা (KMC) অভিযানের ডাক দেয় বিজেপি। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে ওই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কিন্তু পুলিশের অনুমতি ছাড়াই পথে নামে বিজেপি। এরপর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে মিছিল আটকায় পুলিশ। শুরু হয় বিজেপির নেতা কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। তাতে অসুস্থও হয়ে পড়েন কয়েকজন। বিজেপির নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারের সেন্ট্রাল লক-আপে। তারপরেই ধীরে ধীরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। যদিও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরব হয় বিজেপি।