আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অন্যতম প্রতিবাদী মুখ বিশিষ্ট ডাক্তারের বিরুদ্ধে এ বার গুরুতর অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণালের নিশানায় ডাক্তার অভিজিত্ চৌধুরী। অভিযোগ, চিটফান্ড সারদার মালিক সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে যোগ রয়েছে ডাক্তার অভিজিত্ চৌধুরীর। ইতিমধ্যেই কুণাল ঘোষ এই তথ্য নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে যান এবং সারদা কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারদের সেই তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি কুণালের। অভিজিত্ চৌধুরীকে জেরার দাবিও করেছেন কুণাল।
অভিজিত্ চৌধুরী ও সুদীপ্ত সেনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক
কুণালের কথায়, 'সারদা মামলার তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করে এসেছি। আমার কানে কোনও নতুন তথ্য এলে সিবিআই-কে জানিয়ে দিই, তদন্তে সহযোগিতার জন্য। আমি সিবিআই দফতরে গেছিলাম। আমার বক্তব্য হচ্ছে, ডাক্তার অভিজিত্ চৌধুরী, যিনি লিভার ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থার সঙ্গে জড়িত, তাঁর সম্পর্কে আমার কানে কিছু কথা এসেছে। তা আমি সিবিআই-কে জানালাম। দরকারে সিবিআই অভিজিত্ চৌধুরী ও সুদীপ্ত সেনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক। আমাকেও যদি যৌথ জিজ্ঞাসাবাদের দরকার পরে, সিবিআই বললে আমি রাজি আছি।'
চিট ফান্ডের টাকা ঢুকেছে অভিজিত্ চৌধুরীর সংস্থায়?
একই সঙ্গে অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের কোনও টাকা অভিজিত্ চৌধুরীর লিভার ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখুক সিবিআই। কুণাল মূলত ৪টি প্রশ্ন রেখেছেন। সেগুলি হল, ১. ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরী-সুদীপ্ত সেনের পরিচয় ছিল কি না। ২. বাম ঘনিষ্ঠ ডাক্তার অভিজিৎ সিপিএমের তৎকালীন রাজ্য কমিটির এক প্রভাবশালী সদস্যের সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন? ৩. ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরীর মাধ্যমে সুদীপ্ত সেন কি সিপিএমকে টাকা দিয়েছেন? বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বামেদের মুখপত্রে কোনও টাকা দিয়েছেন? ৪. ডাক্তার অভিজিৎ চৌধুরীর লিভার ফাউন্ডেশনে কি সারদাকর্তা টাকা দিয়েছিলেন?
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অন্যতম মুখ ডাক্তার অভিজিত্ চৌধুরী। প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে তিনি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। গত ১৫ অক্টোবর আরজি কর প্রতিবাদে যে দ্রোহের কার্নিভাল হয় কলকাতায়, সেই কার্নিভালেও ছিলেন অভিজিত্ চৌধুরী।
কুণালের এই দাবির প্রেক্ষিতে অভিজিত্ চৌধুরী একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'পাগলের প্রলাপ, এর বেশি কিছু বলার নেই।'