ফের বিস্ফোরক কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। দলের একাংশের বিরুদ্ধে আবারও ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়ক। ৬ অগাস্ট ব্লকে ব্লকে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে কথা বলতে ফেসবুক লাইভ করেন তিনি। সেখানেই মদন বলেন, 'কিছু দালাল, ফেরেপবাজ, চিটিংবাজ দলের মধ্যে ঢুকে নোংরামি করে, মিথ্যা খবর দিয়ে দলকে নোংরা করার চেষ্টা করছে।'
এরপরই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'আমি দলীয় কর্মসূচিতে থাকব। কেউ জল মেশাবার চেষ্টা করবেন না। আমি জ্যাক লাগিয়ে উপর থেকে কিছু করি না। যাদের পোষাবে না তৃণমূল করবেন না। বিজেপি ও সিপিএমকে যেভাবে তেল দিয়ে আমাদের দলের একাংশ তৃণমূলকে ছোবল মারার চেষঅটা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের ঘৃণা করি। দলের কর্মসূচিতে কে এল আর কে এল না তা দেখার দরকার নেই। কে এমপি এল না, কে চেয়ারম্যান এল না, কে মন্ত্রী এল না, তাতে কিছু যায় আসে না। নীতিতে ঠিক থাকলেন কি না, পার্টির কর্মীরা এল কিনা সেটার বিষয়। অসময় আসলে নেতা-মন্ত্রী ছাদের উপরে উঠে যায়। বাঁচায় পার্টির কর্মীরা। আমার জীবন থাকতে পার্টির কর্মীদের রক্ষা করব।'
এরপরই মদনের গলায় শোনা যায়, 'আমাদের তো আর কদিন, হয়ে গেল ২৩-২৪। আর এক বা দু'বছর বাকি আছে। আমি আমার কথা বলছি। আমার আর ২৬ সালের পর দাঁড়াবার জায়গা থাকবে বলে মনে হয় না। তবে সৌগতদা নিশ্চয় ২৪ সালে দাঁড়াবেন। যা পার্টি বলবে তাই হবে। পার্টি বাঁচলে আমরা বাঁচব। পার্টিকে বাঁচাতেই হবে। দলের নির্দেশ সকলকে মানতে হবে। কাউকে তেল দিয়ে পার্টি করাবার প্রয়োজন নেই। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে, সমর্থন নিয়ে এখনও বাংলার মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
ফেসবুকে মদন মিত্রের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তা হলে কী তিনি আঁচ পেয়ে গিয়েছেন তিনি ২০২৬ সালের নির্বাচনে দলের টিকিট পাচ্ছেন না? নাকি রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিতে চলেছেন?