দুর্গাপুজোয় রাজ্যে জঙ্গি হানার আশঙ্কা রাজ্যে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে দুর্গাপুজোর সময়ে, অর্থাৎ ১২ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে রাজ্যে। হামলা থেকে শুরু করে আইন শৃঙ্খলার অবনতি-সহ আরও অনেক কিছু হতে পারে। দুর্গাপুজোর যে গাইডলাইন রাজ্যের মুখ্যসচিব দিয়েছেন তা যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রতিটি জায়গায় মানা হয় বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটি যেন প্রচুর সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে। মণ্ডপে দশনার্থীদের দিকে নজর রাখবে এই স্বেচ্ছাসেবকরা। সেই সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখবে স্থানীয় থানার সঙ্গে। কোনওরকম সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেই তাঁরা খবর দেবে পুলিশে।
মণ্ডপগুলিতে যেন পর্যাপ্ত সিসিটিভি থাকে। সেই সঙ্গে বড় পুজো মণ্ডপগুলির ক্ষেত্রে ওয়াচ টাওয়ার করার কথা বলা হয়েছে। সম্প্রদায়গত শান্তি বজায় রাখতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যেখানে মিশ্র সম্প্রদায়ের বাস কিংবা স্পর্শকাতর এলাকা সেখানে আরও বেশি করে নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দুর্গা পুজো কমিটি যেন স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে ভাসানের তারিখের বিষয়ে আলোচনা করে নেয় । ১৫ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে ভাসান দিতে হবে সব মণ্ডপকে। পুজোর সময়ে কোনও সম্প্রদায় কিংবা কোনও বাসিন্দার যাতে সমস্যা না হয়, সেই দিকও দেখতে হবে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র দফতরের চিঠিতে বলা হয়েছে ১২ তারিখ থেকে অর্থাৎ সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্তই নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণত প্রজাতন্ত্র দিবস কিংবা স্বাধীনতা দিবসের সময়ে হাই অ্যালার্টে থাকে রাজ্য। তবে এবার পুজোর সময়ে জঙ্গি হানার আশঙ্কা বাড়তি ভাবাচ্ছে রাজ্যকে। ইতিমধ্যে কড়া নজরদারি ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এবার পুজোয় কলকাতাতেও বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে পুলিশ। ৫০০০ এর বেশি পুলিশ রাস্তায় থাকবে, বলে জানানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই হবে পুজো। সেখানে বাচ্চাদের প্রবেশ নিয়েও সতর্ক কলকাতা পুলিশ। বাচ্চাদের জন্য ব্যাচ করা হয়েছে কলকাতা পুলিশ এর তরফ থেকে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র জানিয়েছেন,"চতুর্থী থেকেই প্রস্তুতি জোরদার করা হবে। পুজোর আগে ছুটির দিনেও পুলিশ বেশি নামানো হবে। এবছর বিধি নিষেধ শিথিল হওয়ায় ভিড় বাড়বে। তবে আমাদের তরফে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।"