ভিআইপি রোডের বিশৃঙ্খলায় লাগাম টানতে বদ্ধপরিকর পুলিশ। যেকারণে নির্ধারিত জায়গা ছাড়া কোথাও বাস থামতে দেওয়া হচ্ছে না। পথচারীদের রাস্তায় হাঁটতেও দেওয়া হচ্ছে না। সন্ধেয় খোদ পুলিশ কমিশনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন সন্ধ্যার আয়োজন পরিদর্শন করছেন পুলিশ কমিশনার।
পুলিশ বুধবার ভিআইপি রোডে যান চলাচলের জন্য বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চতুর্থীর সন্ধের ভিড় অপ্রত্যাশিত হওয়ায় রাস্তায় ব্যাপক জ্যাম শুরু হয়। বিধাননগর পুলিশের আধিকারিকরা নির্দিষ্ট ক্রসওভার ছাড়া পথচারীরা যাতে রাস্তা পার না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য বারবার ঘোষণা করেছিলেন।
পুলিশ ইতিমধ্যেই বাসগুলোকে মেইন রোড থেকে সরিয়ে সার্ভিস লেন দিয়ে পাস করাচ্ছে। পুলিশকে লাঠি এবং হুইসেল ব্যবহার করে বাসগুলিকে তাড়া করতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার থেকে পুলিশ উল্টাডাঙ্গাগামী বাসগুলোকে বিমানবন্দরের দিক থেকে যশোর রোড দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। ইএম বাইপাসের দিকে যাওয়া বাসগুলি ভিআইপি রোড বরাবর সার্ভিস রোড দিয়ে চলাচল করছে।
শহরের এই অংশটি দুর্গাপুজোর সময় সবচেয়ে খারাপ যানজটের সাক্ষী থাকে। কারণ হাজার হাজার প্যান্ডেল-হপার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো দেখতে আসে। আশেপাশে বসবাসকারী অনেকেই উৎসবের মরসুমে বড় অসুবিধার অভিযোগ করেন কারণ পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন যানবাহন ঘুরতে থাকে বা আটকে থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে ভিআইপি রোডে যান চলাচল যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে বলেছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় ভিআইপি রোড পরিদর্শন করেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। তবে এখন শ্রীভূমির পুজোর জন্য হওয়া যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে জানা যাচ্ছে। তবে সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের আশঙ্কা শুরু হচ্ছে। কারণ হাজার হাজার গাড়ি শ্রীভূমির দিকে আসতে থাকে।
পুলিশসূত্রে খবর, পুজোর জন্য মোতায়েন করা মোট বাহিনীর একটি বিশাল অংশ ভিআইপি রোডে ট্র্যাফিক পরিচালনার জন্য নিযুক্ত রয়েছে।