ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর (East West metro) কাজে আরও একধাপ উত্তরণ। নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ১৫০০ কিউবিক মিটার কংক্রিটের মাইল ফলক ছুয়ে ফেলল মেট্রো রেল। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনের (Metro Station) ওপরের স্ল্যাবের এই কাজ শেষ করা হয়েছে। মেট্র্রোর তরফে আরও জানানো হচ্ছে, একটানা ২৫ ঘণ্টা ধরে চলে এই কাজ। স্ল্যাবটি লম্বায় ৩৬.৩ মিটার, চওড়ায় ৪০ মিটার এবং গভীরতা ১ মিটার। স্ল্যাব তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩টি কংক্রিট পাম্প এবং ২০টি ট্রানজিট মিক্সচার। সমস্ত কোভিড ১৯ বিধি মেনে কাজ করেছেন মোট ৪৮ জন শ্রমিক।
অন্যদিকে ইতিমধ্য়েই শেষ হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনের নির্মাণ কাজ। শেষ হয়েছে বরানগর মেট্রো স্টেশনের সাজানোর কাজও। সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন আইভিএনএল ও মেট্রো রেলের আধিকারিকরা। মেট্রো সূত্রে খবর সবকিছু ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়িই চালু হতে পারে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলেই তৈরি করা হয়েছে মেট্রো স্টেশনটি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন মন্দিরেই
প্রবেশ করছেন। স্টেশনে পৌঁছনোর জন্য থাকছে আলাদা রাস্তা। তাছাড়া ডানকুনি - শিয়ালদহ লাইনের দক্ষিণেশ্বর রেল স্টেশন থেকেও মেট্রো পর্যন্ত রাস্তা থাকছে। ইতিমধ্যেই বসানো হয়ে গেছে চলমান সিঁড়ি ও প্ল্যাটফর্ম বোর্ড। উতসব, পার্বণ সহ বিশেষ বিশেষ দিনে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে স্টেশন।
দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন চত্বরে কারসেডের জন্য কোনও জায়গা পাওয়া যায়নি। ফলে নোয়াপাড়া কারসেড থেকে ৪.১ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে আসবে মেট্রো। নোয়াপাড়া থেকে এসে প্ল্যাটফর্মে যাত্রী নামানোর পর সেটি যাবে বরনগরের দিকে। সেখান থেকে লাইন বদলে দক্ষিণেশ্বরের অন্য প্ল্যাটফর্মে আসবে মেট্রো। ফলে বেশকিছুটা সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ দিনে ভিড় সামাল দেওয়া কিছুটা কঠিন হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত ব্য়বস্থা থাকবে।