Eastern Railway 100% Electrification: আজকের দিনটা পূর্ব রেলওয়ের ইতিহাসে বিশেষ হয়ে থাকবে। আক্ষরিক অর্থেই সোনায় লিখে রাখার মতো। আজ (২৫ মে) পূর্ব রেলে একশো শতাংশ ইলেকট্রিফিকেশন বা বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হল। এক বিবৃতিতে এই সাফল্যের কথা জানানো হয়েছে।
আরও পরিবেশবান্ধব
এর ফলে রেল হয়ে উঠল আরও পরিবেশবান্ধব। ভারতীয় রেল ২০৩০ সালরে মধ্যে কার্বন নিউট্রাল হওয়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে। পূর্ব রেলের এই কৃতিত্ব সেই লক্ষ্যমাত্রাকে আরও জোর দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সিআরএসের পরিদর্শন
এদিন হাঁসডিহা-গোড্ডা সেকশনের রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (CRS) পরিদর্শন করেন। হাঁসডিহা – গোড্ডা সেকশনে ৪১ কিলোমিটার ট্র্যাক এবং ৩২ কিলোমিটার রুট রয়েছে। ১০৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে স্পিড ট্রায়াল করা হয়। কিন্তু এই সেকশনের বিভাগীয় গতি ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সেই পরিদর্শন সফল হয়েছে।
রয়েছে ৪ ডিভিশন
ইস্টার্ন রেলওয়ের মোট রুট কিলোমিটার হল ২,৮৪৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে চারটি ডিভিশন রয়েছে। সেগুলো হল হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল এবং মালদা। যেখানে হাওড়া ডিভিশনে ৮৮৯ রুট কিলোমিটার, শিয়ালদা ডিভিশনে ৭১৯ রুট কিলোমিটার, আসানসোলে ৬৯০ এবং মালদা ডিভিশনের ৫৫০ রুট কিলোমিটার নিয়ে গঠিত।
রেল আরও যা জানাচ্ছে
পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিভাগের সিআরএস পরিদর্শন সফল হয়েছে। আর তার ফেলে পূর্ব রেলের পুরো ২,৮৪৮ কিলোমিটার বিদ্যুতায়িত রুটে রূপান্তরিত হয়েছে। এটি ভারতীয় রেলের বিদ্যুতায়িত মানচিত্রে গোড্ডার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনও এবার থেকে চলে এল।
১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়নের হওয়ার ফলে কমবে দূষণ। এটা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতীয় রেলের কার্বন নিউট্রাল হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠল।
এদিন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, পূর্ব রেলের ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল ও টেলিকম, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অপারেটিং-সহ সমস্ত বিভাগের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই কৃতিত্ব অর্জন করা হয়েছে। এবং এটা সমগ্র পূর্ব রেল পরিবারের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত।